সারা বাংলা

কিশোরগঞ্জে করোনা সংক্রমণের মধ্যে ‍ডেঙ্গুর আশঙ্কা

কিশোরগঞ্জে মশার যন্ত্রণায় দিনে-রাতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে ডেঙ্গুর আশঙ্কায় ভয়ে আছে সাধারণ মানুষ। দ্রুত ব‌্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। 

সাধারণত বছরের এই সময়ে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। এতে ছোট ছোট গর্ত ও ময়লা-আর্বজনার স্তূপে পানি জমে থাকে। পলিথিনে ড্রেন আটকে যায় ও প্লাস্টিকের আবর্জনায় পানি জমে মশার উৎকৃষ্ট প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি হয়।

পৌরসভার বাসিন্দা কৃষ্ণকান্তি বণিক জানান,দিনের বেলায়ও মশা কামড়ায়। ঘরে টেকা মুশকিল হয়ে পড়ে। বাধ‌্য হয়ে দিনেও কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হয়। যেভাবে মশার উপদ্রব বাড়ছে, এর ফলে তিনি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়া নিয়ে ভয়ে আছেন। গত বছর এই সময়ে জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ ছিল।

আরেক পৌরবাসিন্দা আল-আমিন হোসেন জানান, শহরের অনেক জায়গায়  অস্বাস্থ‌্যকর পরিবেশ ও নর্দমা রয়েছে। যার ফলে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে মশার অত‌্যাচার। সন্ধ‌্যার পর দোকানপাট ও বাসা-বাড়িতে ঝাঁকে ঝাঁকে মশার উপদ্রব শুরু হয়।

কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ বলেন,কোভিড-১৯ মোকাবেলার সঙ্গে সঙ্গে এরইমধ্যে শহরের বিভিন্নস্থানে মশক নিধন কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। ফগার মেশিনের মাধ‌্যমে অলিগলি ও ড্রেনে মশক নিধন ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। মশা মারতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন যে মেডিসিন ব্যবহার করে, তাই সংগ্রহ করা হয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান বলেন, গত বছর ডেঙ্গুর কিট আনা হয়েছিল, এর বেশ কিছু কিট এখনো রয়েছে। তাছাড়া এটা ক্রয়ও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ডেঙ্গু মোকাবিলার জন্য স্বাস্থ‌্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক তাদের প্রস্তুতি রয়েছে।

তবে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে বলে জানান তিনি।

কিশোরগঞ্জ করোনাভাইরাস সংক্রমণের অন্যতম হটস্পট। জেলায় এ পর্যন্ত ২৩৪ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর সাতজন মারা গেছে।

 

রুমন/বকুল