সারা বাংলা

সুন্দরবন উপকূলে আঘাত হেনেছে আম্ফান

প্রবল গতিতে সুন্দরবন উপকূলে আঘাত হেনেছে সুপার সাইক্লোন আম্ফান।

বুধবার (২০ মে) বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় ৬০-৭০কিলোমিটার গতিতে আম্ফানের অগ্রভাগ আঘাত হানে।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, ‘বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের অগ্রভাগ সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রা ও সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আঘাত হেনেছে। ওই এলাকায় বর্তমানে বাতাসের গতিবেগ ৬০-৭০ কিলোমিটার।’

এর আগে বুধবার সকাল ৬টায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বরগুনাসহ উপকূলীয় জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

বুধবার সারা রাত ধরে আম্পান সুন্দরবন উপকূল অতিক্রম করবে।

এদিকে, আম্ফানের প্রভাবে মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে খুলনা অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে সাড়ে তিনফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

আশঙ্কা করা হচ্ছে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০-১৫ ফুট অধিক উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

আমিরুল আজাদ জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খুলনায় ৬৬ মি.মিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, ‘স্থানীয় নদ-নদীতে পাঁচ থেকে ছয় ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উপকূল সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকার মানুষ সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।

খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, খুলনার উপকূলীয় এলাকার দুই লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। তবে, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাননি তিনি।

 

মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/সনি