সারা বাংলা

কিশোরগঞ্জে বিনামূল‌্যের ‘ঈদ আনন্দ বাজার’

কিশোরগঞ্জে করা হয়েছে এক ব্যতিক্রমী আয়োজন। অসহায় ২০০ পরিবারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ঈদ আনন্দ বাজারে। সেখানে প্রত‌্যেক পরিবারকে বিনামূল্যে দুই ধরনের চাল, তেল, দুধ, সেমাই, লবণ, চিনি, সাবান, শ্যাম্পু, মাস্ক, হ‌্যান্ড স‌্যানিটাইজার ও নতুন শাড়ি-লুঙ্গিসহ ১২ ধরনের পণ্য দেওয়া হয়। অন্তত এক সপ্তাহের খাবার পেয়ে তাদের মুখে অনেক দিন পর সুখের হাসি ফুটেছে।

শনিবার (২৩ মে) দুপুরে ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ ঈদ আনন্দ বাজারের আয়োজন করেন কিশোরগঞ্জ সম্মিলিত নাগরিক ফোরামের প্রধান সমন্বয়কারী এনায়েত করিম অমি। শহরের নগুয়ার বিন্নগাঁও মহল্লায় নিজ বাসার সামনে খোলা জায়গায় এ ঈদ বাজারের আয়োজন করেন তিনি।

কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা না করে অভাবী লোকজনের জন্য খুলে দেওয়া হয় এ বাজার। সবাই নিজের হাতে সুশৃঙ্খলভাবে পণ্যগুলো নিয়ে হাসিমুখে বাড়ি ফেরেন।

প্রথমে প্রতিটি লোকের শরীরে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে তাদের বাজারে প্রবেশ করানো হয়। পরে সাবান দিয়ে সবার হাত পরিষ্কার করিয়ে পরতে দেওয়া হয় হ্যান্ড গ্লাভস। এরপর স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের নিয়ে যান পণ্যগুলোর সামনে। বিভিন্ন টেবিলে থরে থরে সাজানো জিনিসগুলো তারা নিজের হাতে ব্যাগে ভরে বাজার ত্যাগ করেন।

বাজারে আসা লোকজন জানান, এমন ব্যতিক্রমী ত্রাণ তৎপরতা তারা আগে দেখেননি। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে এখানে যেভাবে লোকজনকে ঈদের উপহার দেওয়া হলো তা এক কথায় অসাধারণ।

ঈদ আনন্দ বাজারের আয়োজক এনায়েত করিম অমি বলেন, এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য—লোকজনকে শৃঙ্খলা শেখানো। প্রতিটি আয়োজনে করোনা ঝুঁকির বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে সবাই সচেতন থাকলে সবকিছু খোলা রেখেও করোনার এই দুর্যোগকে মোকাবিলা সম্ভব বলে আমি মনে করি। প্রথম পালায় ২০০ পরিবারের জন্য আয়োজনটি করা হয়। ঈদের পরে এর পরিধি আরো বাড়ানো হবে। কিশোরগঞ্জ/রুমন/রফিক