সারা বাংলা

এবার নগদ অর্থ উপহার পেলেন সেই রাবেয়া

হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন এলাকার পিঠা বিক্রেতা সেই রাবেয়া খাতুনকে এবার নগদ অর্থ উপহার দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২৩ মে) দুপুরে নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকমের উপদেষ্টা সম্পাদক উদয় হাকিমের পক্ষে হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মো. মামুন চৌধুরী ও শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার বিরামচরের বাসিন্দা সমাজসেবক আব্বাস উদ্দিন তালুকদার ব্যক্তিগতভাবে নগদ অর্থ প্রদান করেন।

এর আগে শুক্রবার (২২ মে) সকালে রাবেয়া খাতুনকে নিয়ে রাইজিংবিডিতে ‘শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনের রাবেয়া ভালো নেই’ একটি মানবিক সংবাদ প্রকাশ হয়।

সংবাদটি প্রকাশ হলে রাইজিংবিডি ডটকমের উপদেষ্টা সম্পাদক উদয় হাকিম ও শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার বিরামচরের বাসিন্দা সমাজসেবক আব্বাস উদ্দিন তালুকদারের দৃষ্টিগোচর হয়। তারা পৃথকভাবে নগদ এ অর্থ প্রদান করতে ইচ্ছা পোষণ করেন।

নগদ অর্থ উপহার গ্রহণ করে রাবেয়া খাতুন খুশীতে আত্মহারা। সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, অর্থদাতারা গরিবের দুঃখ বোঝেন। এ টাকায় আমার বিরাট উপকার হবে। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় রাইজিংবিডিকেও ধন্যবাদ।

নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকমের উপদেষ্টা সম্পাদক উদয় হাকিম বলেন, খবরটি জানার পর রাবেয়া খাতুনকে সাহায্য করার জন্য স্থানীয় প্রতিনিধিকে অর্থ পাঠাই। তিনি এ অর্থ রাবেয়া খাতুনকে দিয়েছেন। কিছু হলেও আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতে পেরে অত্যন্ত ভালো লেগেছে।

উদয় হাকিম বলেন, শুধু হবিগঞ্জ নয়, দেশের সব জেলা এবং উপজেলা প্রতিনিধিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কারো জরুরি সাহায্যের প্রয়োজন হলে অন্য কারো আশায় বসে না থাকতে। রাইজিংবিডির পক্ষ থেকে যেন দ্রুত সাহায্য-সহযোগিতা পৌঁছানো হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে নিউজের আগে মানুষের সাহায্যে এগিয়ে যাওয়া বেশি জরুরি।

এ প্রসঙ্গে আব্বাস উদ্দিন তালুকদার বলেন, রাইজিংবিডি বারেয়া খাতুনকে নিয়ে একটি মানবিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এ প্রতিবেদন পড়ে আমি নিজস্বভাবে উদ্যোগ নিয়ে নগদ অর্থ দিলাম, অত্যন্ত ভাল লেগেছে।

তিনি জানান, করোনা আসার পর এ পর্যন্ত ব্যক্তিগতভাবে নগদ ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ বাবদ প্রায় ৬ লাখ টাকা অসহায় লোকজনের মাঝে বিতরণ করেছেন।

এর আগে শুক্রবার (২২ মে) বিকেলে রাইজিংবিডি’র সংবাদ দেখে রাবেয়া খাতুনকে খাদ্যসামগ্রী উপদার দেন তিনি।

প্রসঙ্গত, রাবেয়া খাতুন হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন এলাকায় পিঠা বিক্রি করে সংসার চালাতেন। করোনার কারণে তার পিঠা বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। এখন বেকার। পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণও পাননি। তাই সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। হবিগঞ্জ/মো. মামুন চৌধুরী/সাজেদ