সারা বাংলা

আম্ফানে সুন্দরবনে ১২ হাজারের বেশি গাছ ভেঙেছে

ঘুর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের ১২ হাজার ৩৫৮টি গাছপালা ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া বন বন বিভাগের অবকাঠামোর প্রায় দুই কোটি ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বন বিভাগের গঠন করা চারটি কমিটির দাখিলকৃত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষকের কাছে শনিবার (২৪ মে) এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন র্কমর্কতা মো. বশরিুল আল মামুন জানান, ঘুর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জের ১২ হাজার ৩৩২টি গাছ ভেঙ্গে গেছে। ভেঙ্গে যাওয়া গাছের মধ্যে গরান গাছের সংখ্যা বেশি। যার মূল্য ১০ লাখ ১০ হাজার ৫৬০ টাকা। এ ছাড়া স্থাপনা, জেটি, ওয়াচ টাওয়ার ও অবকাঠামোর ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে বাঘ, হরণিসহ অন্য কোনো বন্য প্রাণির ক্ষতি হয়নি।

তিনি জানান, সুন্দরবন থেকে সব ধরনের গাছ কাটা নিষিদ্ধ। সে কারণে ক্ষতিগ্রস্ত গাছগুলো যেভাবে আছে সেভাবেই রাখা হবে। কোনো গাছ কাটা হবে না। সুন্দরবন সময়ের সাথে সাথে তার নিজের ক্ষতি নিজেই পুষিয়ে নিতে পারবে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন র্কমর্কতা মো. বেলায়েত হোসেন জানান, চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জে মাত্র ২৬টি গাছ ভেঙ্গে গেছে। তবে তাদের জব্দ করা অনেক কাঠ নদীর পানিতে ভেসে গেছে। এ দুটি ক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ সাত লাখ ছয় হাজার ৮৩০ টাকা। এ ছাড়া অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে এক কোটি ৬০ লাখ ৬৭ হাজার টাকার।

প্রসঙ্গত, গত ২০ মে আঘাত হানে ঘুর্ণিঝড় আম্ফান। পরদিন ২১ মে সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক চারটি রেঞ্জে চারটি কমিটি গঠন করে দেন।

এর আগে গত বছর ১০ নভেম্বর ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে সুন্দরবনের চার হাজার ৫৮৯টি গাছ ভেঙ্গে যায়। এছাড়া বন বিভাগের ৬২ লাখ ৮৫ হাজার টাকার অবকাঠামো ও স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/সনি