লক্ষ্মীপুরে দেড় বছরের শিশু হাবিবুর রহমানের শরীরে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আসামি খুকি বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ মে) বেলা ১১টার দিকে সদর মডেল থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, হাবিবের শরীরে বিষাক্ত ইনজেকশন দেওয়ার অভিযোগে তার দাদা লাতু মিয়া বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে খুকি বেগম একমাত্র আসামি। রাতেই পুলিশের উপ-পরিদর্শক কামরুজ্জামান নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার চর পার্বতীনগর গ্রামের বাড়ি থেকে খুকিকে গ্রেপ্তার করা হয়। খুকি ওই গ্রামের আবুল কাশেমের স্ত্রী।
শিশু হাবিব একই গ্রামের মো. নুর নবীর ছেলে। গত ১১ মে বিকেলে কৌশলে শিশুটিকে ঘরে নিয়ে তার শরীরে তিনটি বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে খুকি। শিশুটির চিৎকার শুনে মা শামছুননাহার তাকে উদ্ধার করে। ওই দিনেই শিশুটির দাদি রহিমা বেগম থানায় অভিযোগ করেন। পরে ২৭ মে রহিমা বেগম বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
মামলা সূত্র জানায়, চরপার্বতীনগর গ্রামের লাতু মিয়ার পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী খুকিদের বিরোধ চলছে। এর জের ধরে ১১ মে বিকেলে খুকি কৌশলে শিশু হাবিবকে তার ঘরে নিয়ে তার শরীরে তিনটি বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে। চিৎকার শুনে মা ও বোন গিয়ে খুকির ঘর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। ইনজেকশনের বিষক্রিয়ায় শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা অবনতি ঘটলে চিকিৎসক শিশুটিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে শিশুটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দিন দিন শিশুটির অবস্থার অবনতি হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজিজুর রহমান মিয়া জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃত নারী থানা হেফাজতে আছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে। ইনজেকশনের সিরিঞ্জসহ আলামত জব্দ করা হয়েছে। সেগুলো পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। লক্ষ্মীপুর/ফরহাদ/রফিক