সারা বাংলা

টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে গৃহবধূসহ ৪ জনের মৃত্যু

টাঙ্গাইল জেলায় বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ জুন) বিকেলে জেলা সদর, নাগরপুর, দেলদুয়ার ও ঘাটাইলে এই ৪ জন মারা যান।

বজ্রপাতে নিহতরা হলেন- জেলার সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নের মো. অনিক (১৫), নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের নাছির মিয়া (৩৫), ঘাটাইল উপজেলার জামুরিয়া ইউনিয়নের গৃহবধূ ছখিনা (৪৬) ও দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা এক ধানকাটা শ্রমিক।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নে নিহত মো. অনিক ধরেরবাড়ী পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মো. আইয়ুব মিয়া। সে ধরেরবাড়ী হাইস্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আব্দুল হক জানান, বিকেলে আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় অনিক তার বাবা-মায়ের সাথে তাদের বাড়ির পাশে শুকাতে দেয়া খড় তুলছিলো। এসময় সে বজ্রপাতের শিকার হয়। তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসাপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নে নিহত নাছির মিয়া কোকাদাইর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম করিম মিয়া। সহবতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য আবু সাঈদ জানান, বিকেলে ঝড় বৃষ্টি শুরু হলে নাছির বাড়ির পাশের জমিতে ধানের খোঁজ নিতে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।

ঘাটাইল উপজেলার জামুরিয়া ইউনিয়নে নিহত গৃহবধূ ছখিনা সাধুর গলগন্ডা গ্রামের বাসিন্দা। বিকেলে মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান এই গৃহবধূ। তার স্বামীর নাম কুদরত আলী। স্থানীয়রা জানান, বজ্রপাতে আহত গৃহবধূকে প্রথমে ঘাটাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেওয়ার পর তিনি মারা যান।

দেলদুয়ারের আটিয়া ইউনিয়নের নান্দুরিয়া গ্রামে বজ্রপাতে নিহত ধানকাটা শ্রমিক উত্তরবঙ্গ থেকে টাঙ্গাইলে এসেছিলেন। আটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মল্লিক জানান, বিকেলে ওই এলাকার একটি ধান ক্ষেতে চারজন শ্রমিক ধান কাটছিলেন। এসময় হঠাৎ বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত শুরু হলে চারজনই ক্ষেতের পাশে একটি শ্যালো মেশিন ঘরে আশ্রয় নেয়। এসময় বৃষ্টির মধ্যেই এক শ্রমিক প্রকৃতির ডাকে বাহিরে গেলে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।

 

সিফাত/টিপু