খুলনার কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাদলের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, ছিনতাই, মারপিট ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনে বিচার চেয়েছেন এক কলেজ ছাত্রী।
শনিবার (৬ জুন) দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করে নিজের নিরাপত্তাও দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে সোনিয়া পারভীন অভিযোগ করেন, গত ২৪ মে রাতে উপজেলার উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের কাঠমারচর কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে গেলে ছাত্রলীগ নেতা বাদল, কিসমতসহ পাঁচজন দুটি মোটরসাইকেলে এসে তার গতিরোধ করে তাকে অপহরণের চেষ্টা করেন। তারা তার ওড়না, মোবাইল এবং হাতের ব্যাগ ছিনিয়ে নেন। এ সময় তিনি চিৎকার করলে পাশের বাড়ি থেকে লোকজন এগিয়ে এসে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যান। এরপর থেকে বাদল ও তার সহযোগীরা এ বিষয়ে কাউকে কিছু না জানানোর জন্য তাকে হুমকি দিচ্ছেন।
সোনিয়া আরও উল্লেখ করেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্প, ইউপি চেয়ারম্যান, থানার ওসি, এমপি, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতিকে জানিয়েও বিচার পাননি। বরং উল্টো তারাও হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছেন।
বিষয়টি নিয়ে আর বাড়াবাড়ি না করার জন্য কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকু তাকে হুমকি দিয়ে বাড়িতে কয়েকদফা লোক পাঠিয়েছেন বলে জানান সোনিয়া।
এ ঘটনার বিচার এবং নিরাপত্তার দাবি তুলে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
অবশ্য এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে ছাত্রলীগ নেতা বাদল বলেন, এসব ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা নেই। বরং তিনি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হওয়ায় প্রতিপক্ষের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে ওই মেয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।
এ ঘটনায় মানহানির মামলা করবেন বলেও উল্লেখ করেন বাদল। তবে, কলেজ ছাত্রী সোনিয়াকে তিনি চেনেন এবং সঙ্গে কথাও হয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
নূরুজ্জামান/বকুল