সারা বাংলা

নরসিংদীতে তালশাঁসের বেচাকেনা জমজমাট

নরসিংদীতে কচি তালের শাঁস সকল মানুষের কাছেই যথেষ্ট প্রিয়। খেতে সুস্বাদু হওয়ায় রসালো ফল হিসেবে এ তালশাঁসের চাহিদাও বেশ।

জ্যৈষ্ঠ মাস শেষপ্রায়। নরসিংদীতে স্থানীয়রা বলেন তালের শাঁস আষাঢ়ি। বাজারে বাহারি নানান ফলের ভিড়ে নির্ভেজাল ফল হচ্ছে তালের শাঁস। একমাত্র এই শাঁসেই এখনো ফরমালিন দেওয়া সম্ভব হয়নি। গরমে একটু স্বস্তি পেতে সাধারণ মানুষের কাছে তালের শাঁস খুবই প্রিয় খাবার।

নরসিংদীর হাটে বাজারে দেখা যায়, গরমে অনেকেই রাস্তার পাশে বসে ও দাঁড়িয়ে এ ফল খাচ্ছেন। কেউ কাঁদি ধরে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বাসা বাড়িতে। তীব্র গরমে একটু স্বস্তি পেতে তালের শাঁসের কদর ছোট বড় সকল মানুষের কাছেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, নরসিংদীর সদর, পলাশ, রায়পুরা, শিবপুর ও মনোহরদীসহ সব উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে তালশাঁসের জমজমাট বেচাকেনা চলছে। ক্রেতাদের কাছে কদর থাকায় বিক্রেতারাও মৌসুমের এ ফল বিক্রি করে আয় করছেন বাড়তি টাকা। এটি বাজারের রাস্তায় ও রেলওয়ে স্টেশনের পাশের ফুটপাতে বেশি পাওয়া যাচ্ছে। অনেক বিক্রিতা তালশাঁস ভ্যানগাড়িতে নিয়ে স্কুল-কলেজ গেটে বসছেন।

কম দামে ভালো খাবার এই তালশাঁস। এক একটি তালের ভেতরে তিন-চারটি আঁটি বা শাঁস থাকে। একটি তাল ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  তালের শাঁস বিক্রেতারা গ্রামে গ্রামে ঘুরে গাছের মালিকদের কাছ থেকে ছোট-বড় মিলে একসাথে পাইকারি ভাবে কচি তাল কিনছেন। একটি গাছে তিন থেকে পাঁচশ তাল ধরে। প্রতিটি কচি তালের পাইকারি ছয় থেকে সাত টাকা দামে কিনছেন বলে জানালেন একজন তালবিক্রেতা।

নরসিংদী শিক্ষাচত্ত্বর বাজারে তালের শাঁস বিক্রি করছেন সজিব মিয়া। তিনি বলেন, ‘আমরা তাল গাছের মালিকদের কাছ থেকে পাইকারি দরে কিনি, পরে নিজ দায়িত্বে গাছ থেকে কেটে ভ্যান গাড়ি দিয়ে বিভিন্নস্থানে বিক্রি করি। এতে পরিশ্রম হলেও মৌসুমী ফল বিক্রি করে অনেকটা লাভবান হচ্ছি।'

রায়পুরা উপজেলার হাইরমারা মোড়ে তালের শাঁস বিক্রেতা কবির হোসেন জানান, প্রতিটি তাল তিনি ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকায় বিক্রি করছেন।

তিনি বলেন, ‘এখন আর তাল গাছ আগের মতো সব জায়গায় নেই। ফলে বিভিন্নস্থান থেকে খুঁজে সংগ্রহ করে যানবাহন ভাড়া দিয়ে ক্রয় খরচটা একটু বেশি পরে। এতে করে একটু বেশি মূল্যে এ মৌসুমী ফল বিক্রি করতে হচ্ছে।' নরসিংদী/টিপু