সারা বাংলা

ভেজা মাস্ক-এ সংক্রমণ বাড়ে

এখন বর্ষা কাল। কোথাও না কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে প্রতিদিন। বৃষ্টিতে ভিজছে মানুষ, পরিধেয় বস্ত্র। সেইসাথে ভিজে যাচ্ছে করোনা থেকে রক্ষায় ব্যবহৃত মাস্ক।

করোনাভাইরাসের প্রভাবে স্বাস্থ্যনীতির অংশ হিসেবে জনসাধারণকে মাস্ক ব্যবহারে জোর দেওয়া হচ্ছে। নিজ উদ্যোগে জনসাধারণও মাস্ক ব্যবহার করছেন।

কাপড়ের তৈরি, সার্জিক্যাল, কেএন ৯০, এন ৯০ মাস্কও ব্যবহার করছে মানুষ। তবে অধিকাংশের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারের প্রকৃত নিয়ম অনুসরণ করতে দেখা যাচ্ছে না।

দেখা গেছে কেউ কেউ নাক খোলা রাখছেন। কেউ থুতনিতে মাস্ক আটকিয়ে রাখছেন। কেউ একটি মাস্ক অনেকদিন ব্যবহার করছেন। কারো কারো মাস্কে ময়লার আস্তরণ পড়ে গেছে। কারো মাস্ক বৃষ্টির পানিতে ভিজে গেছে। কেউবা মাথায় তুলে রাখছেন মাস্ক।

মাস্কের সঠিক ব্যবহার নিয়ে লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন, ‘বৃষ্টিতে ভিজলে মাস্কও ভিজবে। পরে তা ধুয়ে ও শুকিয়ে ব্যবহার করতে পারা যাবে। ভেজা মাস্ক-এ সংক্রমণ বাড়ে।’

ডা. আফতোদা খানম (গাইনি বিশেষজ্ঞ) বলেন, ‘ভেজা মাস্কে ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রভাব বেশি হবে। সব সময় পরিষ্কার মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। শুষ্ক মাস্ক পরার কোনো বিকল্প নেই।’

অধ্যাপক ডা. বিমল রায় (বিভাগীয় প্রধান, সার্জারি বিভাগ, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ) বলেন, ‘শুষ্ক মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। কোনোভাবেই ভেজা মাস্ক ব্যবহার করা যাবে না। এমন কি নাকের পানি, মুখের পানিতে ভেজা মাস্কও ব্যবহার করা যাবে না। মাস্কের কোনো অংশ ভেজা থাকলে সেটাও ব্যবহার করা যাবে না। খুলে ফেলতে হবে। মাস্ক ভেজা থাকলে উল্টো সংক্রমণের হার বাড়তে পারে।’

অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম (অবঃ - থোরাসিক সার্জন, বিভাগীয় প্রধান, জাতীয় বক্ষব্যাধী ইনিউস্টিটিউট) বলেন, ‘ভেজা মাস্ক নিয়ে কাজ করা যাবে না। কোনো কারণে মাস্ক ভিজে গেলে পরিবর্তন করে নিতে হবে। অনেক কারণেই মাস্ক ভিজে যেতে পারে। ঠাণ্ডা লাগার কারণে ভিজে যেতে পারে। নাক-মুখের ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে ভিজে যেতে পারে। সব সময় শুষ্ক রাখতে হবে। ভেজা বস্তু তাড়াতাড়ি অপরিষ্কার হয়। মাস্ক শুস্ক থাকলে মাস্ক এর জালুনি-ছাকুনি কাজ করে। ভেজা মাস্ক এ ইনফেকটেড হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ভেজা মাস্ক পরে কোনোভাবেই ইনফেকটেড মানুষের কাছে যাওয়া যাবে না।’ লালমনিরহাট/সনি