সারা বাংলা

চাঁদপুরে করোনায় মৃত সনাতনীদের সৎকার করছে হরিবোলা সমিতি

করোনা উপসর্গ কিংবা করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত সনাতনীদের সৎকারে মানবিক ভূমিকা পালন করছে চাঁদপুর হরিবোলা সমিতি।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঝুঁকি নিয়ে মানবিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি। তারা সনাতনধর্মীয় রীতি মেনে মৃতের দাহ শেষে সমাধিস্থ করছেন চাঁদপুর পৌর মহাশ্মশানে।

খবর নিয়ে জানা যায়, শহরের বাগাদী রোডের চাঁদপুর পৌর মহাশ্মশানটি প্রায় ১২৫ বছরের পুরোনো মহাশ্মশান। এখানে প্রায় চার একর জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত মহাশ্মশানে শিব, ত্রীনাথ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী কালী মন্দির রয়েছে। যেখানে বিভিন্ন সময়ে মাসিক ও বাৎসরিক মেলা এবং নামকীর্ত্তণ করা হয়। আর এসব অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সনাতনীদের সৎকার কাজ পরিচালনা হয়। যেখানে মৃতের সৎকারের জন্য কাপড়, ধূপ, কাঠ, কলোস, চন্দন কাঠ, স্বর্ণের টুকরোসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র মজুদ রয়েছে।

খবর নিয়ে আরও জানা যায়, প্রতিটি দাহ কাজ সম্পন্ন করতে খরচ দিতে হচ্ছে মাত্র ৫ হাজার টাকা। আর সাতজন দাহকর্মী পালা করে এই দাহকাজ সম্পন্ন করছেন। দুটি চিতা সার্বক্ষণিক তৈরি থাকে এই মহাশ্মশানে। যেখানে শুধু মরদেহ নিয়ে এসে রাখলেই হয়। মাত্র  আড়াই থেকে ৩ ঘণ্টার মধ্যে পুরো দেহটি পোড়াতে সক্ষম হন তারা। তবে মন্ত্র পাঠে  একজন দাহ ঠাকুর ও মন্দিরের দুজন পুরোহিত এ কাজে সহযোগিতা করেন।

২১ জুন রবিবার এ ব্যপারে এক সাক্ষাৎকারে হরিবোলা সমিতির সভাপতি অজয় কুমার ভৌমিক জানান, করোনাকালীন গত দুই মাসে মহাশ্মশানে প্রায় ৬৭ টি মরদেহ দাহ সম্পন্ন করা হয়েছে। যারমধ্যে ১১ জন করোনা উপসর্গের রোগী ছিলো। তাদের আত্মীয়-স্বজনরা এই দাহ কাজে এগিয়ে না আসলেও আমরা মানবিক বিবেচনায় দাহকাজ সম্পন্ন করে ফেলেছি। এক্ষেত্রে আমাদের দাহকর্মীদের কয়েক দফা স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যপারে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট চাঁদপুরের সহকারী প্রকল্প পরিচালক অমিত কুমার জানান, সনাতন ধর্মের অনেক লোক করোনা রোগে মারা যাচ্ছেন। আমাদেরকে জানালে আমরা সনাতনীদের দাহ কাজ সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমাদেরকে রোগীর করোনা পজেটিভ ও ডেথ সার্টিফিকেট দিলে আমরা তাৎক্ষণিক মৃতের স্বজনদের হাতে ৭ হাজার টাকা অর্থসহায়তা তুলে দিচ্ছি। চাঁদপুর/অমরেশ দত্ত জয়/সাজেদ