সারা বাংলা

৩০ বছর পর রংপুরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

৩০ বছর আগে রংপুরে নগরীর প্রধান সড়কের জায়গা দখলসহ বিভিন্ন দোকানপাট তৈরি করে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন তারা। এসব দখলদারদের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

সোমবার (২২ জুন) সকালে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন রংপুর সিটি কর্পোরেশন, রংপুর বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ও সেনাবাহিনী।

অভিযানকালে সিটি বাজারের সামনে সব ধরনের দোকান ও স্থাপনা, বর্ধিত বারান্দা, সিটি বাজারের প্রবেশমুখে বর্ধিত অংশসহ ভিতরের রাস্তার দুইপাশে বর্ধিত দখলকৃত অংশ উচ্ছেদ করা হয়।

উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করায় রংপুরের পথচারী, সিটি বাজারের ক্রেতা সাধারণ প্রশংসা করেছেন। অবৈধ দোকান যাতে আর বসতে না পারে সেজন্য সিটি কর্পোরেশনসহ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন জনসাধারণ।

সেসময় উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শন করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার এ কে তারিকুল ইসলাম, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্যানেল মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটু, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আবদুল আলীম মাহমুদ, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের প্রেসিডেন্ট রেজাউল ইসলাম মিলন, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মিঞা প্রমুখ।

জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে একটি অসাধু সিন্ডিকেট চক্র নগরীর প্রধান সড়কের অর্ধেক জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে দখলে রেখেছিল। এ কারণে নগরীতে সার্বক্ষণিক যানজট লেগেই থাকতো। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব না মেনে দোকানপাট করে ব্যবসা করার কারণে সিটি বাজার করোনার হট স্পটে পরিণত হয়েছিলো।

রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতয়ালী জোন) জমির উদ্দিন বলেন, ‘নগরীর প্রধান সড়ক দখল করে অবৈধ স্থাপনা আর বসতে দেওয়া হবে না।’

জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, ‘রংপুর সিটি বাজার করোনার হট স্পটে পরিণত হয়েছিল। বাজারটিতে কেউ সামাজিক দূরত্ব মানছিল না। এখন থেকে কাঁচা বাজার এখানে বসতে দেওয়া হবে না। তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে তাদের ব্যবসা করতে হবে।’

রসিক প্যানেল মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটু বলেন, ‘সিটি বাজারকে করোনার হট স্পট থেকে রক্ষা এবং নগরবাসীর চলাচল স্বাভাবিক রাখতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।’ নজরুল মৃধা/সনি