সারা বাংলা

সরকারি ঘর দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

বাগেরহাটের চিতলমারীতে সরকারি বরাদ্দ থেকে ঘর বানিয়ে দেওয়ার নামে হতদরিদ্র মানুষদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। দুই বছরেও ঘর না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় তাদের নানা হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সন্তোষপুর ইউনিয়নের দড়িউমাজুড়ি গ্রামের সংকর হীরা, সুনীত রায়, বলাই হীরা, বীমল বলেন, ‘সরকারি বরাদ্দ থেকে ঘর করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বলা হয়েছিল, ঘর পেতে ৫ হাজার টাকা লাগবে। হাতে নগদ টাকা না থাকায় ঋণ নিয়ে মেম্বারকে টাকা দেই। দুই বছর হয়ে গেছে, ঘরও পাইনি, টাকাও ফেরত পাইনি। দুই বছরে ৫ হাজার টাকায় প্রায় আড়াই হাজার টাকা সুদ দিয়েছি। মেম্বারের কাছে টাকা চাইতে গেলে গালিগালাজ করে। মেরে ফেলার হুমকি দেয়।’

৫ নং ওয়ার্ডের চারুলতা শিকদার ও কাজল মন্ডল বলেন, ‘বছর দুয়েক আগে ইউপি সদস্য শ্রীবাস রায় আসেন আমাদের কাছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বরাদ্দ আসছে, তোমাদের ঘর দেওয়া হবে। কিন্তু ঘর পেতে টাকা লাগবে। আমাদের কাছে ৬ হাজার টাকা চায়। সব টাকা জোগার করতে পারিনি। ওই সময় ৫ হাজার ২০০ টাকা দিয়েছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত ঘর পাইনি। মেম্বারের কাছে টাকা চাইতে গেলে এলাকা থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়।’

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য হরেন্দ্র নাথ শিকদার বলেন, ‘তারা যে অভিযোগ করেছে তা ভিত্তিহীন। আমি আগামীতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করব, তাই কুচক্রীমহল এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

৫ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শ্রীবাস রায় তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’

চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মারুফুল আলম বলেন, ‘সন্তোষপুর ইউনিয়নের ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উভয় পক্ষকে নোটিশ করেছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

বাগেরহাট/টুটুল/রফিক