সারা বাংলা

‘জামায়াতের সাথে আমার বিন্দুমাত্রও সম্পর্ক নেই’

আল্লামা শফীর ছেলে আনাস মাদানী কর্তৃক উত্থাপিত জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

বুধবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জামায়াত সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে আনাস মাদানীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।

বিবৃতিতে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, “জামায়াতের সাথে আমার বিন্দুমাত্রও সম্পর্ক নেই। অতীত-বর্তমানে কোনো সময়ই জামাতের সাথে আমার সম্পর্ক ছিল না। বরং পুরো জীবন আমার লেখালেখিতে ও লক্ষ লক্ষ মানুষের বিশাল সমাবেশে বয়ান-বক্তৃতার মধ্যে জামায়াতের ভ্রান্ত আকিদা সম্পর্কে আমি দেশবাসীকে সচেতন করে আসছি।

‘জামায়াত সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আমার সম্পর্কে সে যা বলেছে, সেটা তার পরিকল্পিত মিথ্যাচার। তার এহেন মিথ্যাচার আমাকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রেরই অংশ বলে আমি মনে করি। এগুলো আমার মানহানি করার অপচেষ্টা।”

তিনি বলেন, ‘কিছুদিন থেকে আমি লক্ষ্য করছি যে, তারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে একটি কুচক্রিমহলের ইন্ধনে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা এবং সাজানো কথা রটিয়ে, উস্কানিমূলকভাবে সরকার এবং প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চক্রান্ত করে যাচ্ছে। এসবের নিন্দা ও ধিক্কার জানানোর ভাষা আমার নেই।’

বাবুনগরী বলেন, “মাওলানা আনাস মাদানী ফোনালাপে ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরের মর্মান্তিক ঘটনার সম্পূর্ণ দায়ভার আমার ওপর চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করেছেন। তিনি শাপলা চত্বরের মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে আমাকে জড়িয়ে এমন ডাহা মিথ্যে কথা বলতে পারবে, তা আমি আশা করিনি।

‘অথচ জেলে গেলাম আমি, রক্ত দিলাম আমি। রিমান্ডে অমানুষিক নির্যাতন ভোগ করলাম আমি। সেই রাতে হেফাজতের সমাবেশে কী হয়েছিল তা জাতি জানে, কিন্তু মামলার আসামী হলাম আমি। সে রাতে হেফাজতের সমাবেশে কি হয়েছিলো জাতী তা জানে। কিন্তু মামলার আসামি হয়েছিলাম আমি।”

উল্লেখ্য সম্প্রতি ফাঁস হওয়া এক ফোনালাপে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী সম্পর্কে সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক আল্লামা শফী পুত্র বলেন আনাস মাদানী বলেন, ‘বাবুনগরী জামায়াতের সঙ্গে আতাঁত করেছেন। বাবুনগরী সব সময় বাতিলের বিরুদ্ধে কথা বলেননি। সব সময় জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করে কাজ করেন। জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করে শাপলা চত্বরে মাইর খাওয়াইছেন।’ রেজাউল করিম/সনি