সারা বাংলা

অসহায় নারীকে ঘর উপহার দিলেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার

স্বামী সন্তানহীন আমিরুন নেছা (৮০) পালিত নাতির সাথে বাস করতেন। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে তার দোচালা ঘরটি পড়ে যায়। মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুর এমন সর্বনাশে দু'চোখে অন্ধকার দেখেন আমিরন।

ফেসবুকে এ ব্যাপারে একটি পোস্ট দেখতে পেয়ে তার বাড়িতে ছুটে যান পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত। খাদ্য সহায়তা দেন এবং নতুন ঘর তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসেন।ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঘর তৈরি করে দিয়ে সে প্রতিশ্রুতি রাখলেন পুলিশ সুপার।

বুধবার (১ জুলাই) সকালে পুলিশ সুপার নিজে গিয়ে বৃদ্ধার কাছে ঘরটি হস্তান্তর করেন। নতুন ঘর পেয়ে দারুণ খুশি বৃদ্ধ আমিরুন নেছা। তিনি ফুল দিয়ে পুলিশ সুপারকে শুভেচ্ছা জানান।

কুষ্টিয়া শহর লাগোয়া হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শালদহ গ্রামের বাসিন্দা আমিরুন নেসার বসবাস। নতুন ঘরে থাকার বড় রুমের পাশাপাশি একটি বারান্দা ও সাথেই একটি টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া খাট, ফ্যান ও আলনাসহ অন্যান্য ফার্নিচারও উপহার দিয়েছেন পুলিশ সুপার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, আজাদ রহমান, আতিকুর রহমান আতিক, ইউপি চেয়ারম্যান শম্পা মাহমুহ, হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিলন মন্ডল, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান ডাবলুসহ গনমাধ্যম কর্মীরা।

পুলিশ সুপার তানভির আরাফাত বলেন, ‘ভাল কাজ করার মধ্যে যে কি আনন্দ তা বলে বোঝানো যাবে না। এ বৃদ্ধার কষ্টের কথা জেনে আমি তার বাড়িতে এসেছিলাম। তার কষ্ট দেখে খুবই খারাপ লেগেছিল। রজমান মাস হওয়ায় আমার সহধর্মিনী জাকাতের টাকা দিয়ে বৃদ্ধার ঘরটি নির্মাণের কথা বললে আমিও সেই মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করি। জাকাতের অর্থ দিয়ে ঘরটি নির্মাণ করে দিয়েছি। তিনি বাকি জীবন যাতে ভাল ভাবে থাকতে পারেন। পাশাপাশি তার ফার্নিচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজ নতুন ঘরটি তার কাছে হস্তান্তর করতে পেরে নিজেকে সব থেকে সৌভগ্যবান মনে হচ্ছে। পুলিশের একজন সদস্য হিসেবে আমি গর্বিত।’

এর আগে পুলিশ সুপার ফিতা কেটে ঘরটি উদ্বোধন করেন। ঘরের চাবি তুলে দেন বৃদ্ধার হাতে। এরপর সবাইকে মিষ্টি খাওয়ান বৃদ্ধা আমিরুন নেসা।

 

কাঞ্চন কুমার/টিপু