সারা বাংলা

মাল্টা চাষে লাখপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন আব্দাল মিয়া

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দা আব্দাল মিয়া। তিনি মাত্র ৩৩ শতক জমিতে মাল্টা চাষ করে লাখপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

আব্দাল মিয়া জানান, ২০১৬ সালের মে মাসে মাত্র ৯০টি মাল্টার গাছ লাগান তিনি। বারী-১ জাতের এই মাল্টার চারা সরবরাহ করে কৃষি বিভাগ। নিয়মিত পরিচর্যায় গাছগুলো বেড়ে উঠেছে। গাছে গাছে মাল্টা ধরেছে। কষ্টের ফল তিনি এখন পাচ্ছেন। কেউ বাগান দেখতে গেলে তিনি উচ্ছ্বাস নিয়ে মাল্টা চাষের গল্প শোনান।

তিনি বলেন, ‘শ্রম ও বিশ্বাস এ দুটো মিলিয়েই সাফল্য এসেছে। ২০১৮ সালে ২০ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করি। পরের বছর বিক্রি করি ৪০ হাজার টাকার মাল্টা। চলতি মৌসুমে এক হাজার কেজি মাল্টা উৎপাদন হবে বলে আশা করছি। এ হিসেবে মাল্টা বিক্রি থেকে কমপক্ষে ১ লাখ টাকা আসবে।’

আব্দাল মিয়া জানান, স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা যেকোনো ফলের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ থাকে এবং দামও ভালো পাওয়া যায়। এ কারণে মাল্টা চাষের প্রতি তার আগ্রহ বেড়েছে। আরেকটি মাল্টা বাগানও করতে চান তিনি।

উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রণব মজুমদার জানান, আব্দাল মিয়ার সফলতা দেখে আশপাশের অনেকেই মাল্টা চাষ শুরু করার কথা ভাবছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবদুল আউয়াল বলেন, ‘চেষ্টা করলে অবশ‌্যই ফল পাওয়া যায়। আব্দাল মিয়া কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে মাল্টা চাষ করে লাভবান হয়েছেন। তিনি জমিতে কোনো বিষ দেননি। গোবর ও কিছু পরিমাণ সার প্রয়োগ করেছেন মাত্র। আর এতেই তিনি ভালো ফল পাচ্ছেন।’

হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ‘মাল্টা সুস্বাদু ফল। জেলায় এ পুষ্টিকর ফলটির চাষ করা হচ্ছে। এটা অবশ্যই একটি ভালো সংবাদ।’

 

হবিগঞ্জ/মামুন/ইভা