সারা বাংলা

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি ধীর গতিতে কমছে। এ জেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

নদ-নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের ঘর-বাড়ি থেকে পানি নামতে শুরু করলেও দুর্ভোগ কমেনি বন্যাদুর্গতদের। করোনা ও বন্যার কারণে হাতে কাজ না থাকায় খাদ্য সংকটে পড়েছেন তারা। এ অবস্থায় সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতার দিকে তাকিয়ে আছে দরিদ্র পরিবারগুলো।

বন্যাকবলিত এলাকায় শিশু ও গবাদি পশুর খাদ্য সংকট নিয়েও বিপাকে পড়েছেন বানভাসী মানুষরা। এসব এলাকার রাস্তা-ঘাট পানির নিচে থাকায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের জাহাজের আলগা গ্রামের আমান আলী, রহম আলী জানান, বাড়ি থেকে এখনো পানি নেমে যায়নি। কাজ-কর্ম সব বন্ধ রয়েছে। ঘরে খাবার নেই। সরকারি সহযোগিতা ছাড়া বাঁচার কোনো উপায় নেই।

বন্যাকবলিত এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বন্যার্তদের জন্য যে পরিমাণ সহযোগিতা প্রয়োজন তার ১০ ভাগের ১ ভাগও মিলছে না।

উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের বন্যাকবলিতদের জন্য মাত্র ৩০০ প্যাকেট বরাদ্দ পেয়েছি। পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা হলো সাড়ে ৩ হাজার। শনিবার নৌকা নিয়ে এই ৩০০ প্যাকেট বিতরণ করেছি। বন্যাকবলিত মানুষরা খুবই কষ্টে আছে। তাদের জরুরি খাদ্য সহায়তা দরকার।’

জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, বন্যা শুরুর পর কুড়িগ্রামে ৩০২ মেট্রিক টন চাল ও ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকার শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে ২০০ মেট্রিক টন চাল, ২ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে, যা বিতরণ করা হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি হ্রাস অব্যাহত আছে। রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুড়িগ্রাম/বাদশাহ্‌/রফিক