সারা বাংলা

‘সোনাবাবু’র দাম ১৫ লাখ

গায়ের রং কুচকুচে কালো। পেটে ও মাথার কিছু অংশ সাদা। নাম তার সোনাবাবু। তবে এই বাবু কোনো মানুষ নয়। নয় ফুট লম্বা আর পাঁচ ফুট উচ্চতার প্রায় ৩৫ মন ওজনের ফ্রিজিয়ান প্রজাতির এক ষাড়ের নাম সোনাবাবু।

পরম যত্বে সোনাবাবুকে বড় করেছেন টাঙ্গাইলের গৃহবধূ জয়নব বেগম। এবারের কোরবানির ঈদে ১৫ লাখ টাকায় সোনাবাবুকে বিক্রি করতে চান জয়নব বেগম।

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ফাজিলহাটি বটতলা গ্রামের প্রবাসী কামরুল ইসলামের স্ত্রী জয়নব বেগম। সাড়ে তিন বছর আগে তার বাড়িতেই পালা গাভীর গর্ভে জন্ম নেয় সোনাবাবু। বছর তিন আগে স্বামী কামরুল ইসলাম পাড়ি দেন সিঙ্গাপুরে। এরপর থেকেই নিজে সোনাবাবুকে বড় করে তোলেন জয়নব। আর এই কাজে তাকে সাহায্য করেন তার শ্বশুর-শাশুড়ি। কোনো প্রকার ক্ষতিকর ওষুধ ছাড়াই শুধু দেশীয় খাবার খাইয়ে সোনাবাবুকে লালন-পালন করে বড় করেন তারা। 

গরুর মালিক জয়নব বেগম বলেন, ‘আকৃতিতে বড় হলেও সোনা বাবুর স্বভাব খুব শান্ত। প্রতিদিন গম, ছোলা, ভুষি, আটা, ময়দা, খৈল, খড়সহ প্রায় ৫ কেজি খাবার খাওয়ায় সোনাবাবুকে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরামর্শে এখন পর্যন্ত সোনাবাবুকে কোনো মেডিসিন বা ইনজেকশন দেওয়া হয়নি। সোনাবাবুর ওজন এখন প্রায় ৩৫ মণ, তাই এবারের ঈদে বিক্রি করতে চাই। অনেকেই তাকে দেখতে আসছেন। কেউ কেউ দামও করছেন। অনেকেই ৫-৬ লাখ টাকা বলছে। এক ব্যবসায়ী ৮ লাখ টাকা বলেছেন। কিন্তু আমরা সোনাবাবুকে ১৫ লাখের নিচে বিক্রি করব না।’

সোনাবাবুই দেলদুয়ার উপজেলার সবচেয়ে বড় গরু, জয়নবের এমন দাবির সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এনায়েত করিম বলেন, ‘ষাড়টির ওজন প্রায় ৩৫ মণ। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নিয়মিত ষাড়টির খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদিও এখন করোনার সময়। তারপরও সামনের ঈদে সোনাবাবুকে কাঙ্খিত দামে ওই গৃহবধূ বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছি।’

 

টাঙ্গাইল/ইভা