সারা বাংলা

সিরাজগঞ্জে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে বন্যাকবলিত মানুষ

যমুনার পানি দ্রুতগতিতে কমছে।  পরিস্থিতির উন্নতি দেখে বাঁধের উপরে আশ্রিতরা গরু-ছাগল নিয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে।

বন্যা পরিস্থিতিতে বাঁধে আশ্রয় নিয়েছিল প্লাবিত হওয়া নিম্নাঞ্চলের শতাধিক পরিবার।  বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেকেরই বাড়ি-ঘর।  ঠিকঠাক করে বসবাস উপযোগী করতে অনেক সময় লাগবে তাদের।

বুধবার (৮ জুলাই) দুপুরে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রণজিৎ কুমার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, উঁচু স্থান ও স্কুল ঘরে আশ্রিত বানভাসি মানুষ এবং বন্যা কবলিত এলাকার বসতবাড়িতে থাকা পানিবন্দী মানুষেরা এখনো খাবার সংকটে।  রয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের সংকট।  পানি কমতে থাকার সাথে সাথে নানা দুর্ভোগের মধ্যে যোগ হয়েছে নদী ভাঙন আতঙ্ক।  আবার অনেকের ফসলের ক্ষেত পানিতে সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয়ে যাওয়ায় ফসলহানীর শঙ্কায় চিন্তিত তারা।

কাওয়াকোলা ইউপি’র কাটাঙ্গা চরের কৃষক আলতাব হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন বাড়িতে পানি থাকায় ওয়াপদাতে আশ্রয় নিয়েছিলাম।  পানি কমতে শুরু করেছে।  পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছি।

ওয়াপদাতে আশ্রয় নেওয়া সদরের রানীগ্রাম এলাকার পানিবন্দি নয়ন সরকার বলেন, পানি নামতে শুরু করেছে। তাই বাড়িতে যাওয়ার চিন্তা করছি।  তবে বন্যার পানিতে বাড়ির বেহাল অবস্থা।  সংস্কার করতে সময় লাগবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রণজিৎ কুমার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ২৬ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  এখানে সকল নদ-নদীর পানিই বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  তাছাড়া বৃষ্টিপাত কমায় পানিও দ্রুত কমতে শুরু করেছে।

   

অদিত্য রাসেল/টিপু