সারা বাংলা

সরাইলে দুদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে দুদল গ্রামবাসীর দফায় দফায় সংঘর্ষে চার পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। এ সময় প্রতিপক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।

মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিশার গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিপেটা এবং ৩৫ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আহতদেরকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিশার গ্রামের বজলু মিয়ার গোষ্ঠীর লোকদের সঙ্গে একই গ্রামের ওলি মিয়ার গোষ্ঠীর লোকজনের দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উভয় গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিপেটা এবং ৩৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে এ ঘটনার জের ধরে আজ বুধবার সকালে বজলু মিয়ার গোষ্ঠির এক বৃদ্ধা মঙ্গলবার রাতে সংঘর্ষে আহত হয়ে মারা গেছেন এমন গুজব রটিয়ে ফের উভয় গোষ্ঠীর লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ আবারও ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল চৌধুরী জানান, গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাত ও বুধবার সকালে গ্রামের বজলু মিয়ার গোষ্ঠীর লোকদের সঙ্গে ওলি মিয়ার গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হন।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আহমেদ জানান, দু’দফা সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে। তিনি বলেন, বৃদ্ধার মৃত্যুর বিষয়টি গুজব। সংঘর্ষে চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দাঙ্গাবাজদের গ্রেপ্তারে এলাকায় পুলিশি অভিযান চলছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় মামলা দায়ের করেনি।

 

মাইনুদ্দীন রুবেল/সাজেদ