সারা বাংলা

কবর থেকে শিশুর লাশ তুলে রাস্তায় রাখার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের তিন দিন বয়সী এক শিশুর লাশ কবর থেকে তুলে রাস্তায় ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশের সহায়তায় অন‌্য একটি কবরস্থানে দাফন করা হয় শিশুটিকে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) সকালে সদর উপজেলার ঘাটুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীরা জানায়, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ফেনী সদর উপজেলার পূর্ব সুলতানপুর গ্রামের রেজওয়ানুল হক ভূইয়ার ছেলে সাইফুল হকের সঙ্গে ঘাটুরার মধ্যরাস্তা পূর্বপাড়ার মৃত আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে স্বপ্না বেগমের বিয়ে হয়।

সাইফুল ফেনীর নৈরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। গত মঙ্গলবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় জেলা শহরের মুন্সেফপাড়ায় খ্রিস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে স্বপ্না একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে শিশুটির মৃত‌্যু হয়। সকালেই ঘাটুরা গ্রামে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদে ওই শিশুর জানাযা সম্পন্ন হয়।

শিশুটির বাবা সাইফুল হক বলেন, ‘সকাল আনুমানিক সাতটার দিকে ঘাটুরা গ্রামের কবরস্থানে আমার সন্তানের লাশ দাফন করি। দাফন শেষ করে বাড়ি ফেরার পর এলাকার উগ্র মৌলবাদী ও তাদের সমর্থকরা মাইকিং করে আমাদের কবরস্থানে যেতে বলেন। এরই মধ‌্যে তারা আমার সন্তানের লাশ কবর থেকে তুলে রাস্তায় ফেলে রাখেন। পরে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কান্দিপাড়ায় দাফন করা হয়।’

সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ হাজারী আঙ্গুর বলেন, ‘ওই শিশুকে দাফন করার জন্য কবরস্থানে নেওয়া হয়েছিল। কবরও খুঁড়েছিল। তবে স্থানীয়রা এতে বাঁধা দেন এবং কবরটি মাটি দিয়ে ভরে ফেলেন। শিশুটির লাশ সেখানে দাফন করতে দেননি। গত ছয় মাস ধরে আহমদিয়া (কাদিয়ানী) সম্প্রদায়ের লোকজনকে এখানে দাফন করা হচ্ছে না।’

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘কবর থেকে লাশ উত্তোলনের কোনো ঘটনা আমাদের সামনে ঘটেনি। তবে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন জানিয়েছে, এখানে ১০০ বছর ধরে তাদের লোকজনকে কবর দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই তাদের নির্ধারিত কবরস্থান কান্দিপাড়ায় ওই শিশুর লাশ দাফন করা হয়েছে।’ মাইনুদ্দীন রুবেল/সনি