সারা বাংলা

কুড়িগ্রামে ধরলার পানি বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপরে

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। কুড়িগ্রামে সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়া, জেলায় ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার ৯ উপজেলার ৫৬ ইউনিয়নের প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ।

মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকালে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামে সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি ১৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ৪০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৩৪ সেন্টিমিটার বেড়ে ৮১ সেন্টিমিটার ও তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অন্যদিকে বন্যার পানিতে উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে নতুন করে ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

সারডোব এলাকার মজিবর রহমান বলেন, ‘গত রাতে বাঁধটি ভেঙে উঁচু এলাকাগুলোও প্লাবিত হয়ে পড়েছে। বাঁধের পূর্ব দিকের ২০টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।’

জেলায় দ্বিতীয় দফায় বন্যার কবলে পড়া কর্মহীন মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। কাঁচা পাকা সড়ক তলিয়ে গেছে। ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। অনেকেই ঘর-বাড়ি ছেড়ে উঁচু বাঁধ ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ নৌকা নিয়ে উঁচু এলাকায় চলে যাচ্ছে।

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের মোকছেন আলী বলেন, ‘পানি বাড়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে পাশ্বর্বর্তী পাকা সড়কে আশ্রয় নিয়েছি। এখনও কোনো ত্রাণ সহায়তা পাইনি।’

উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের ২২ হাজার মানুষ পানিবন্দি। যাদের ঘরের ভেতর থাকার অবস্থা নেই তাদের নৌকা দিয়ে আশ্রয় কেন্দ্র ও উঁচু এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত বন্যাকবলিতদের জন্য সরকারি ত্রাণ সহায়তা হাতে পাইনি।’

এদিক, জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম জানান, প্রশাসন থেকে ১৬০ মেট্রিক টন চাল, ৮ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এগুলো বিতরণ করা হচ্ছে।

 

বাদশা সৈকত/ইভা