পদ্মা এখন উত্তাল। গত কয়েকদিনের অতিবর্ষণের ফলে ধ্বসে গেছে গতবছরের দেয়া বালুর বাঁধ। অব্যাহত রয়েছে ভাঙন। দ্রুত বাঁধ দিতে না পারলে প্রমত্তা পদ্মার ভাঙনে নিঃস্ব হবে অনেক পরিবার।
পদ্মার ভয়াবহ রূপ দেখে বসত বাড়ি ও ভিটে হারানোর শঙ্কায় নদীর তীরবর্তী মানুষেরা উদ্বিগ্ন সময় পার করছেন।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রায়টা, নতুন পাড়া, জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ফয়জুল্লাপুর এলাকায় গত কয়েক বছরে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার ভূমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙন রোধে গত বছর দেয়া বালুর বাঁধ গত কয়েকদিনের প্রবলবর্ষণে ধ্বসে গেছে।
নতুন পাড়া এলাকার পদ্মা পাড়ের সিদ্দিক আলী বলেন, ‘অবিলম্বে বাঁধ নির্মাণ করা না হলে আমাদের বাড়িঘর, ফসল, গাছপালা নদীগর্ভে চলে যাবে। আমরা দ্রুত সমাধান চাই। '
জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আনোয়ারা খাতুন বলেন, ‘এলাকাবাসীরা বালুর বাঁধে আর বিশ্বাসী হতে পারছেন না। নদী ভাঙন রোধে তারা ব্লক দিয়ে নদীর পাড় বাঁধার দাবী জানিয়েছেন। '
জুনিয়াদহ ইউপি চেয়ারম্যান শাহেদ আহাম্মেদ শওকত ও বাহাদুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান ছবি পদ্মা নদীতে ভাঙন ও বাঁধ ধ্বসের ঘটনায়উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত স্থায়ী সমস্যা সমাধানের দাবী জানান।
ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল মারুফ বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অত্র এলাকার বেশ কিছু বাড়ি ঘর ও স্থাপনা পদ্মার ভয়াল থাবার মধ্যে রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে আমি তাৎক্ষণিকভাবে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অবগত করেছি। '
ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আকতারুজ্জামান মিঠু বলেন, ‘পদ্মা পাড়ের ভাঙনের কথা শুনে আমি দেখতে গিয়েছিলাম। যদি সঠিক সময়ে বাঁধ নির্মাণ করা না হয় তাহলে বহু বাড়ী ঘর নদী গর্ভে চলে যাবে। এ ব্যাপারে আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি, তারা সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পীযুষ কৃষ্ণ কুন্ডু বলেন, ‘গতবছর যেখানে আমরা বাঁধ নির্মাণ করেছিলাম তার পাশেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিষয়টি আমরা শুনেছি। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। '
কাঞ্চন/টিপু