সারা বাংলা

গাইবান্ধায় আবারও পানি বাড়ছে নদীতে, দুর্ভোগে সোয়া লাখ মানুষ

গাইবান্ধা ব্রহ্মপুত্রে ৯৯ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীতে ৭১ সেন্টিমিটার ওপর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধির জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির দ্বিতীয় দফায় মারাত্মক অবনতি হয়েছে। জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর সহ চার উপজেলার ২৬টি ইউনিয়ন পুনরায় বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। ওইসব এলাকার ১ লাখ ২৫ হাজার মানুষ এখন পানিবন্দি।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জাকির ও ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহতাব উদ্দিন ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পোড়ারচর ওয়ার্ডের মেম্বর রাজা মিয়া জানান, আগে যেসব এলাকা থেকে পানি নেমে গিয়েছিল, ওইসব এলাকা আবার নতুন করে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। ফলে ঘরবাড়িতে বন্যার পানি ওঠায় পানিবন্দি পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। শুকনো খাবার ও জ্বালানির অভাবে খাদ্য সংকটে পড়েছে বন্যার্ত মানুষ। অনেকে ইতোমধ্যে বাড়িঘর ছেড়ে গরু-ছাগল নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ৯৯ সে.মি. এবং ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ৭১ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন জানান, এজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চার উপজেলার বন্যার্তদের মধ্যে বিতরণের জন্য নতুন করে ১০০ মে. টন চাল, চার লাখ টাকা, ১ হাজার ৮০০ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং শিশুখাদ্যের জন্য দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান জানান, বন্যার পানি আরও দুদিন বাড়বে। এতে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ১১০ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্টে জরুরি প্রতিরক্ষামূলক কাজ করা হচ্ছে। বাঁধের অবস্থা এখনও ভালো আছে। সিদ্দিক আলম দয়াল/সাজেদ