সারা বাংলা

যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপরে

বর্ষণ আর উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধিতে সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে পানি ১৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। তলিয়ে যাচ্ছে রাস্তা-ঘাট, স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা।

জেলার ৩৫ হাজার পরিবারের প্রায় পৌনে দুই লাখ মানুষ ইতোমধ‌্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সকালে জেলার পানি বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কাজিপুর উপজেলা পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১৯ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রণজিৎ কুমার সরকার এ তথ‌্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রকৌশলী রণজিৎ কুমার সরকার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি ১৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলা পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার এবং কাজিপুরে ১১৯ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে। যমুনার পানি বাড়ায় কাজিপুর, শাহজাদপুর ও চৌহালীতে ভাঙন বেড়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, যমুনার পানি বৃদ্ধিতে জেলার ৩৫ হাজার পরিবারের প্রায় পৌনে দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ মানুষ নিজে উদ্যোগী হয়ে পাশের উঁচু স্থান ও বাঁধে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।

জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ বলেন, ‘ত্রাণ দপ্তর থেকে ৪০০ টন চাল, দুই লাখ টাকার শিশু খাদ্য, দুই লাখ টাকার গো-খাদ্য ও চার হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে জেলার বন্যাদুর্গত এলাকার জন্য ১৪২ টন চাল এবং দুই লাখ ৫৪ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। ১৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৩০টি মেডিক‌্যাল টিম প্রস্তুত রয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে দুর্গতদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে নিজ নিজ উপজেলা কমিটিকে জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ অদিত্য রাসেল/সনি