সারা বাংলা

মেঘনার ঢেউয়ের পানিতে নাসিরনগরে ২৫ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত

মেঘনা ও লঙ্ঘন নদীতে বৃষ্টির মধ্যে ঝড়ো বাতাসে সৃষ্ট ঢেউয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার তিন ইউনিয়নের ২০-২৫ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঢেউয়ে মেঘনা নদীতে এক জেলে নিখোঁজ রয়েছে।

সোমবার (২৭ জুলাই) দুপুরে স্থানীয় দুটি নদীতে হঠাৎ ঢেউ ওঠে। নিখোঁজ কৃষ্ণদাস (৬৫) সদর উপজেলার মহাকালপাড়ার বাসিন্দা। গভীর রাত পর্যন্ত তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চাতলপাড়ের মেঘনা নদীতে হঠাৎ বড় বড় ঢেউ উঠতে শুরু করে। ঢেউয়ে মাত্রা বেশি থাকায় পানি নদীর পাড়ে থাকা ১৫-২০টি বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এতে ঘরের আসবাব ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পানিতে ইউনিয়নের পুলিশ ফাঁড়ির সামনের কাঁঠালকান্দি রাস্তার কিছু অংশ ভেঙে যায়।

নদীর ঢেউয়ের পানি ঢুকে পড়ায় বুড়িশুর ইউনিয়নের আশুরাইল গ্রামের নজরুল ইসলাম, সরিফুল ইসলাম, সবিজুল ইসলাম, টেনু মিয়া, লাল মিয়া, আব্দুল হাসিম, মজনু মিয়া, ছোট্ট মিয়া, কাউছার মিয়া, লিটন মিয়াসহ বেশ কয়েকজনের ঘর ও নাসিরনগর সদরের গাংকুলপাড়ার কয়েকটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঢেউয়ে অনেক আসবাব ভাসিয়ে নিয়ে যায়।

নিখোঁজ জেলে কৃষ্ণ দাসের স্ত্রী সুমিত্রা রাণী দাস জানান, দুপুরে তার স্বামী মাছ ধরতে মেঘনা নদীতে যায়। ঢেউয়ে আঘাতে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।

নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন বলেন, কতটি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। নিখোঁজ জেলের সন্ধানে তাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।