সারা বাংলা

পুলিশের ধাওয়ায় নদীতে ঝাঁপ, পরে লাশ উদ্ধার

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া মোস্তাফিজার রহমান মাসুমের (৩৫) লাশ সোমবার (৩ আগস্ট) বিকেলে করতোয়া নদী থেকে উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।

পরে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিচারের দাবিতে লাশ নিয়ে এলাকাবাসী ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করে। নিহত মাসুম মহাস্থান গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য বজলুর রহমানের ছেলে।

পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। আর পুলিশের আশ্বাসে স্থানীয়রা অবরোধ তুলে নিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পুলিশের কোন সদস্যরা মাসুমকে ধরতে গিয়েছিল এলাকাবাসী তা জানাতে পারেনি।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রোববার (২ আগস্ট) বিকেল ৬টায় উপজেলার প্রতাবাজু গ্রামে সাদা পোশাকে পুলিশ মাদকবিরোধী অভিযান চালানোর সময় মাসুম ভয়ে দৌঁড় দেয়। পুলিশও তাকে ধাওয়া করে। মাসুম আটক এড়াতে করতোয়া নদীতে ঝাঁপ দেয়। পরে পুলিশ তাকে না পেয়ে ফিরে যায়।

এলাকাবাসী তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে শিবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে একঘণ্টা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে মাসুমকে না পেয়ে ফিরে যায়।

ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ আব্দুল হামিদুল জানান, অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাওয়া যায়নি।

লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম বদিউজ্জামান জানান, মহাস্থানে কয়েকজন মাদক চোরাচালানিকে আটক করা হয়েছে। সেখানে পুলিশ দেখে মাদকসেবি মাসুম নদীতে ঝাঁপ দেন বলে তিনি শুনেছেন।