সারা বাংলা

মেঘনার জোয়ারে লক্ষ্মীপুরের ৪৫ গ্রাম প্লাবিত

স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে গত দুই দিনে প্রায় ৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে লক্ষ্মীপুরের মেঘনায়। এতে লোকালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ। প্লাবিত হয়েছে নদী তীরবর্তী প্রায় ৪৫টি গ্রাম।

বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সকাল ১০টা পর্যন্তও জোয়ারের পানি কমেনি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রায়পুর থেকে সদর ও কমলনগর হয়ে রামগতি পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার নদী এলাকার প্রত্যেকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জেলা সদরের করাতিরহাট, চরমনি, ভূঁইয়ার হাট, চর মেঘা, রায়পুরের চর আবাবিল, খাসেরহাট, চরলক্ষ্মী, চরবংশী, চরভৈরবী, হাজীমারা, চর কাচিয়া, জালিয়ার চর, কুচিয়ামোড়া, চর ঘাশিয়া, টুনুর চর, কমলনগরের চরফলকন, চরকালকিনি, চরলরেন্স, নবীগঞ্জ ও রামগতির আলেকজান্ডারসহ প্রায় ৪০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নদীর তীর থেকে এসব এলাকার প্রায় ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত জোয়ারের পানি ঢুকেছে।

এছাড়া, সদর, রায়পুর, রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় প্রায় ৪০ গ্রামে জোয়ারের পানি ঢুকে নদীর তীর থেকে ৪ কিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে নদী সংযুক্ত খাল, পুকুর, বসতঘর, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয়-প্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট হাঁটু পরিমাণ পানিতে ডুবে আছে। কোথাও কোথাও কোমর পরিমাণ পানিও হয়েছে। এতে মেঘনা উপকূলীয় মানুষগুলো চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

এদিকে, রায়পুর উপজেলায় কয়েকটি ঘেরের প্রায় অর্ধকোটি টাকার মাছ জোয়ারে ভেসে গেছে। উপজেলার চর আবাবিলসহ কয়েকটি গ্রামের অন্তত ৩ হাজার পানের বরজ কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে পান নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা করছেন চাষিরা।

অন্যদিকে, কমলনগরের চরলরেন্স ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তাজ পোল্ট্রি খামারের ৬ হাজার মুরগি জোয়ারের পানিতে ডুবে মারা গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে মুরগির খাবার। খামারের মালিক ওসমান হোসেন দাবি ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে তার।

বিষয়টি জানিয়েছেন রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরীন চৌধুরী জানান, জোয়ারের কারণে বেশ কিছু কাঁচা, আধাপাকা ঘরবাড়ি ও সড়কের গাছসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কাজ চলছে।