বধূ সেজে বসে আছে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ববি আক্তার। বরযাত্রীও হাজির। চলছে খাওয়া-দাওয়া। কবুল বললেই বিয়ে সম্পন্ন। এরমধ্যে ঘটে পুলিশের উপস্থিতি। এতে সব আয়োজন পণ্ড হয়ে যায়। মুহূর্তে ফাঁকা বিয়ে বাড়ি।
শুধু বর আর কনের বাবাকে আটক করতে পারে পুলিশ। তাদের ডোমার থানায় নিয়ে আসা হয়। নীলফামারীর ডোমার পৌরসভার গোডাউনপাড়া এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটা ঘটনা এটি।
ববি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বদরুল ইসলামের মেয়ে ও শহীদ স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণির ছাত্রী। বর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর এলাকার কেতাব আলীর ছেলে।
পৌরসভার গোডাউনপাড়া এলাকায় অনেকটা গোপনে বিয়ের আয়োজন করা হয়। ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বিষয়টি জানতে পেরে কয়েকজন পুলিশ পাঠান বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে। রাতে দুই পরিবারের সদস্যরা ‘শিশু বিবাহের আয়োজন করবে না’ বলে মুসলেকা দিলে তাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধির জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান, ১০ বছরের ওই অবুঝ শিশুটি সংসারের ঘানি টানা থেকে রেহায় পেল। তাকে লেখাপড়া করার সুযোগ দেওয়া হবে বলে তার পরিবারের সদস্যরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।