সারা বাংলা

আখ চাষে লাখপতি হওয়ার স্বপ্ন রাকিবের

কুষ্টিয়ার মিরপুরে পরীক্ষামূলক গেন্ডারি জাতের আখ চাষ করে লাখপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন রাকিব হোসাইন নামে এক যুবক। 

রাকিব হোসাইনের বাড়ি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার গোবিন্দগুনিয়ায়। রাকিব তার ফুফাতো ভাই দুল্লা মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে আখ চাষ শুরু করেন। খরচ-খরচা বাদ দিয়ে এবার প্রায় ১৫-১৬ লাখ টাকা লাভ হবে বলে আশা করছেন তারা। 

রাকিব হোসাইন বলেন, ‘আগে এই অঞ্চলে দেশি জাতের প্রচুর আখ আবাদ হতো। তবে এখন আর হয় না। লোকসানের কারণে বন্ধ হয়ে যায় আখের আবাদ। কিন্তু এবার প্রথম আমরা এই গেন্ডারি জাতের আখের চাষ করেছি। বেশ ভালো হয়েছে। দামও ভালো। আশা করছি, আখ চাষে আমাদের ভালো লাভ হবে।’

তিনি বলেন, ‘গেন্ডারি আখ খুবই নরম, রসালো ও মিষ্টি। চাষ পদ্ধতি অন্য আখের মতোই। রোগবালাইও খুব একটা বেশি না।’

রাকিব জানান, বিঘা প্রতি ১০ হাজার টাকা জমির লিজ খরচ দিতে হবে। যশোর থেকে এ আখের বীজ নিয়ে আসা হয়। এক বিঘা জমিতে প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। প্রতি বিঘার আখ ৪ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকায় বিক্রি করা যাবে।

তিনি বলেন, ‘আখের পরিচর্যা করতেই বেশি খরচ লাগে। ১ বছর ধরে প্রতিদিন চারজন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করে। সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে সাড়ে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। বিঘাপ্রতি আখ রয়েছে ২০ থেকে ২২ হাজারের মতো। জমি থেকেই ক্রেতারা পাইকারি ২৫-৩০ টাকা পিস হিসাবে কিনে নিয়ে যাচ্ছে।’

জমি থেকে আখ কিনে নিয়ে খুরচা বিক্রেতারা মিরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকসহ দৌলতপুর উপজেলায় বিক্রি করে। এই অঞ্চলে এ জাতের আখ আর কোথাও না থাকায় চাহিদা ভালো। আগামীতে আরও ৩ বিঘা জমিতে এ আখ চাষ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে রাকিব জানান। 

চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস আলী পিস্তল বলেন, ‘এই অঞ্চলে গেন্ডারি আখের বেশ কদর রয়েছে। দামও বেশ ভালো। চিথলিয়া ইউনিয়নের দুল্লা মণ্ডলরাই শুধু এই জাতের আখ চাষ করেছে। বেশ ভালো দামে আখ বিক্রি করছে বলে শুনেছি।’

মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ জানান, গেন্ডারি জাতের আখ চাষ খুবই লাভজনক। মিরপুর উপজেলায় এ জাতের আখ চাষ শুরু হয়েছে। আশা করছি, লভজনক হওয়ায় এ জাতের আখের চাষ আরও বাড়বে।