সারা বাংলা

নামছে বন‌্যার পানি, দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতি

মানিকগঞ্জে বন‌্যার পানি কমতে শুরু করেছে। এতে তলিয়ে যাওয়া রাস্তা-ঘাট ও ঘর-বাড়ি  থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। এর ফলে বন‌্যায় সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি দিন দিন দৃশ্যমান হচ্ছে।

বন‌্যার পানির তীব্র স্রোতে মানিকগঞ্জের ৭ উপজেলার বিভিন্ন পাকা সড়কের বিভিন্নস্থানে ৩৪ কিলোমিটার ভেঙে গেছে। সেই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ আধা-পাকা সড়কেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বিষয়টি জানিয়েছেন মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গাউস উল হাসান মারুফ।

মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, মানিকগঞ্জে পানি কমতে শুরু করলেও তা এখনও পুরোপুরি নামেনি। যেসব স্থানে পানি নেমে গেছে সেখানকার ক্ষয়ক্ষতি দৃশ্যমান হচ্ছে।

চলতি বছরের দু-দফা বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে জেলার ৭ উপজেলার সঙ্গে জেলা শহরের প্রধান সড়কের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে হরিরামপুর উপজেলার সঙ্গে মানিকগঞ্জ সদরের এখনও সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া জেলার ৭ উপজেলার সঙ্গে অনেক ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগের স্বীকার হতে হচ্ছে লাখ লাখ মানুষের।

এবারের ভয়াবহ বন্যায় মানিকগঞ্জ জেলা শহরের সঙ্গে ঘিওর, দৌলতপুর উপজেলার একাধিক ইউনিয়নের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। যা এখন পর্যন্ত চালু হয়নি।  ফলে এসব অঞ্চলের মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগের স্বীকার হতে হচ্ছে।

হরিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমার প্রতিটি ইউনিয়নের সকল অভ্যন্তরীণ সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে গেছে। পানি কমতে শুরু করলেও এখনও অধিকাংশ মানুষের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে নৌকা।’

সাটুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন পিন্টু বলেন, ‘আমার মালশি, গওলা, কৈজরি, পাড়া গ্রামের পাকা, আধা-পাকা সড়ক পানিতে ডুবে গিয়েছিল। পানি নেমে যাওয়ার পর সেসব সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এখন সেখানে যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হাটাই দুস্কর হয়ে পড়েছে।’

সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিন জানান, বালিয়াটী থেকে জেলা শহরে যাতায়াতের একাধিক সড়ক থাকলেও বর্তমানে মাত্র একটি সড়ক ব্যবহার করা যাচ্ছে। অন‌্য সড়কগুলো বানের পানিতে ডুবে গেছিল। ওই সব সড়কের একাধিক স্থান বানের পানির তীব্র স্রোতে ভেঙে গেছে। তাই সড়কগুলি বন্ধ আছে।

দৌলতপুর উপজেলার বাঁচামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের সকল পাকা ও আধা পাকা সড়কই পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি নামতে শুরু করায় ক্ষয়ক্ষতি ধীরে ধীরে দেখা যাচ্ছে।

মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গাউস উল হাসান মারুফ জানান, মানিকগঞ্জে এখনও অনেক সড়ক পানির নিচে তলিয়ে আছে। ১০ আগস্ট পর্যন্ত হিসেব অনুযায়ী, জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৩৪ কিলোমিটার পাকা সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙে গেছে। সম্পূর্ণ জেলা বন্যা মুক্ত হলে সঠিক ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করে দ্রুত সংস্কারের জন‌্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।