সারা বাংলা

মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ঠাঁই হয়নি, পথেই সন্তান প্রসব

গাইবান্ধায় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ঠাঁই না পাওয়ায় রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত ঘরে সন্তান প্রসব করেছেন এক প্রসূতি।

মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) গভীর রাতে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র থেকে বিতাড়িত হয়ে এই প্রসূতি শহরের ডিবি রোডে সন্তান প্রসব করেন।  পরে পুলিশের সহযোগীতায় অসুস্থ অবস্থায় মা ও শিশুকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

প্রসূতির স্বজন ও পুলিশ জানায়, সাঘাটা উপজেলার বোনার পাড়ার এই গৃহবধূ প্রসব বেদনা নিয়ে সিনএনজিচালিত অটোরিকশায়  মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে আসেন।  সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার উপস্থিত না থাকায় কেন্দ্রের পরিদর্শিকা সেলিনা আক্তার প্রসূতিকে  ভর্তি না করিয়ে তাদের অন্যত্র যেতে বলেন।  নিরুপায় স্বজনরা কাকুতি মিনতি করতে থাকলে কেন্দ্রে থাকা পরিদর্শিকাসহ স্বাস্থ্যকর্মী ও আয়ারা প্রসূতিসহ তার স্বজনদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয়।

বিতাড়িত হয়ে ওই গৃহবধূ পরে শহরের ডিবি রোডের পাশে পরিত্যক্ত ঘরে মেয়ে সন্তান প্রসব করেন।   পরে এলাকাবাসী ও পুলিশের সহযোগীতায় অসুস্থ অবস্থায় মা ও শিশুকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. আফসারী খানম বলেন, মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র সবার জন্য উন্মুক্ত।  সবার সেবা পাওয়ার অধিকার আছে।  রাতের যে ঘটনাটি ঘটেছে তা হলো রোগীকে রেফার্ড করা হয়েছিল।  সেই রোগী হাসপাতালে যাওয়ার পথে সন্তান প্রসব করে।  এতে যদি কতব্য অবহেলার কোন বিষয় থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গাইবান্ধা সদর থানার ওসি খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে তারা গভীর রাতে প্রসুতিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।  তার যাবতীয় সেবার ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এরআগে গত ৬ এপ্রিল সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের এক প্রসূতিকে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র থেকে তাড়িয়ে দেন কেন্দ্রের সিনিয়র স্বাস্থ্য কর্মী তৌহিদা বেগম।  ওই প্রসূতি কেন্দ্রের কয়েকশ গজ দূরেই অটো রিকশা ভ্যানে সন্তান প্রসব করেন।