সারা বাংলা

ভালো নেই আন্ধারমানিকের ট্রলারচালকরা

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চর এলাকার লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ট্রলার।

জেলা বা উপজেলোর সঙ্গে লেছড়াগঞ্জ, আজিমনগর এবং ধূলশুরা ইউনিয়নের তিনটি ট্রলার ঘাট দিয়ে মানুষ করে যাতায়াত করে থাকে। তবে করোনা এবং বন্যার কারণে সাধারণ মানুষের যাতায়াত কমে গেছে।

এতে ঘাটের ট্রলারচালকদের আয় রোজগার কমে গেছে। বর্তমানে তারা নিদারুন কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। 

সরেজমিনে বুধবার (১২ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে আন্ধারমানিক ট্রলার ঘাটে যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় ট্রলারচালক মো. বাবু মিয়াকে। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ট্রলার ছাড়ার সময় হওয়ায় মাত্র চারজন যাত্রী নিয়েই হরিনা ট্রলার ঘাটের দিকে রওনা হলেন তিনি।

এ সময় বাবু মিয়া জানান, ট্রলারে শুধু হরিনা ঘাটে যেতে দেড় লিটার ডিজেল তেল লাগে। এতে খরচ হবে প্রায় একশো টাকার মতো। আর চারজন যাত্রীর কাছ থেকে ৪০ টাকা হারে টাকা উঠবে একশো ষাট টাকা। ফলে মাত্র ষাট টাকা লাভ হবে। এরকম করে সারাদিনে এখন ৫০০ টাকা আয় করা কষ্টসাধ্য। অথচ প্রায় ছয় মাস আগে এ ট্রলার দিয়েই প্রতিদিন এক হাজার ২০০ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতেন তিনি। আগের মতো আয় না হওয়ায় এখন পরিবার পরিজন অনেক সময় অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাতে হয়।

বাবু মিয়ার মতো আরেক ট্রলারচালক মুনছের আলী জানান, আন্ধারমানিক থেকে হরিনা ঘাটে ১২ ট্রলার যাত্রী পারাপার করে। তবে এখন ৬ ট্রলার একদিন পর পর চলাচল করে। ফলে একদিন আয় হলে পরের দিন আয় ছাড়াই কাটাতে হয় ট্রলারচালকদের।

আলাল নামের আরেক ট্রলারচালক জানান, কখনও যাত্রী বাড়ে আবার কখনো কমে। যাত্রী বাড়া-কমা ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে। বাপ দাদারা এ ট্রলার চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। নিজে তেমন লেখাপড়া না করাতে অন্য কোন পেশাতেও তিনি যেতে পারছেন না।

লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ হোসেন ইমাম জানান, উপজেলার সঙ্গে এ ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ট্রলার। বন্যায় এ ইউনিয়নের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফলে মানুষের যাতায়াত কমে যাওয়ায় ট্রলার ব্যবসায়ীদের আয় কমে গেছে।