সারা বাংলা

গোপালগঞ্জের কেবি ব্রিকস: ৪ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ 

ইট দেওয়ার চুক্তিতে ৪ কোটি টাকা অগ্রীম নিয়ে এক ইটভাটার মালিক এখন ইট বা টাকা, কোনটাই ফেরত দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন গোপালগঞ্জের বেশ কজন ব‌্যবসায়ী।

টাকা ফেরতের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। আজ শুক্রবার সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের কেবি ব্রিকস প্রাঙ্গনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শাহ আলম মোল্লা জানান, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের কাজী বোরহান উদ্দিন করপাড়া গ্রামে কেবি ব্রিকস ক্রয় করে ইট পোড়ানো ও বাজারজাত ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসার এক পর্যায়ে স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ীসহ অর্ধশত মানুষের কাছ থেকে ইট দেওয়ার কথা বলে প্রায় ৪ কোটি টাকা অগ্রীম নেন। পরবর্তীতে তিনি তাদেরকে ইট বা টাকা কোনটাই ফেরত না দিয়ে ভাটা বন্ধ করে দেন। কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ব্যাংক চেক দিলেও ওই চেকে কোন টাকা ছিল না। তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি টাকা না দিয়ে না তালবাহনা করেন। দ্রুত টাকা ফেরত না পেলে তাদেরকে পথে বসতে হবে।

অপর ভূক্তভোগী মহাসিন ফকির বলেন, ‘কেবি ব্রিকসের মালিক ব্যবসায়িক কারণে তার কাছ থেকে ১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা নেন। এছাড়া একই এলাকার হাফিজুর রহমানের কাছ থেকে ২২ লাখ ৩২ হাজার ৬০০ টাকা, কেরামত মীরের কাছ থেকে ১৭ লাখ, শাহ আলমের কাছ থেকে ৩৮ লাখ, আফি ফকিরের কাছ থেকে ২২ লাখ টাকাসহ প্রায় ৪ কোটি টাকা ধার নেন। 

তিনি বলেন, ‘টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন কাজী বোরহান উদ্দিন। এরই মধ‌্যে তিনি একটি পেট্রোল পাম্প বিক্রি করে দিয়েছেন। এখন ভাটা বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। আমাদের দাবী পাওনাদারদের টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত যাতে তিনি ভাটা বিক্রি না করতে পারেন অথবা কেউ ক্রয় না করেন।

এসময় টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন প্রতারিত ব‌্যবসায়ীরা। 

সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী নোয়াব আলী ফকির, এসএ নজরুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, কেরামত মীর, গোপালগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।