সারা বাংলা

যৌতুকের দাবিতে সিগারেটের ছ্যাঁকা 

যৌতুক না পেয়ে গাইবান্ধায় গৃহবধূ রুপা আকতারের শরীরে (২১) সিগারেটের আগুনের ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এই অভিযোগে গৃহবধূর স্বামী মো. আসাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২১ আগস্ট) সকালে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার সদর উপজেলার মালিবাড়ি ইউনিয়নের সাজাইপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

গ্রেপ্তার মো. আসাদুল ইসলাম মৌজা মালীবাড়ি সাজাইপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদ ডিপটির ছেলে।

গৃহবধূ রুপা আকতারের মা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম ছাপরহাটি খানপাড়া গ্রামের তারফিনা বেগমের বরাত দিয়ে ওসি খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, তার মেয়ে রুপা আকতারের সঙ্গে দুই বছর আগে আসাদুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুকের টাকা ও গহনা দেন রুপার মা। তারপরও বিয়ের পর থেকে জামাই আসাদুল যৌতুকের জন্য তার মেয়ে রুপাকে প্রায়ই মারপিট করতেন। এ নিয়ে একাধিকবার গ্রামে শালিশ বৈঠকও করা হয়।

এর মধ‌্যে গত ২৮ দিন আগে রুপা একটি সন্তান জন্ম দেন। এ অবস্থায়ও আসাদুল রুপাকে এক লাখ টাকা আনার জন্য বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু টাকা না নিয়ে রুপা স্বামীর বাড়িতে চলে আসেন। এতে স্বামী আসাদুল আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনি রুপার সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ শুরু করে দেন।

ঝগড়ার এক পর্যায়ে গত বুধবার আসাদুল ও তার পরিবারের লোকজন রুপার হাতে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেন। এতে রুপা অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মায়ের কাছে খবর পাঠানো হয়। পরে তার মা ও স্বজনরা এসে রুপাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান। রুপা এখন গাইবান্ধা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরপর বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে নির্যাতিতা রুপার মা তারফিনা বেগম থানায় মামলা দায়ের করেন।

ওসি খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার আরও জানান, রুপা আকতারের শরীরে সিগারেটের ক্ষত রয়েছে। এ ঘটনায় তার স্বামী আসাদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই মামলায় অন‌্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।