সারা বাংলা

মাদারীপুরে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার শিবচর ইউনিয়নের চরসামাইল গ্রামে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা খুরশিদা বেগমকে (৩৫) নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে খুরশিদার মৃত‌্যু হয় স্বামীর বাড়িতে। শিবচর থানার পুলিশ মহিলার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শুক্রবার সকালে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শিবচর ইউনিয়নের চরসামাইল গ্রামের মোসলেম মৃধার  ছেলে আব্বাস আলী মৃধার সঙ্গে ১২ বছর আগে বিয়ে হয় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া গ্রামের আ. রাজ্জাক ফকিরের মেয়ে খুরশিদা বেগমের। তাদের ঘরে এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। খুরশিদা বেগম সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গত দুই বছর ধরে খুরশিদার পরিবারের কাছে চাকরির জন্য টাকা চেয়ে আসছিল স্বামী আব্বাস মৃধা। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে মনমালিন্য চলছিল। এরই জের ধরে খুরশিদাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে নিহতের পরিবারের অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটিয়ে রাত ১১টার দিকে খুরশিদার বাপের বাড়িতে মোবাইলের মাধ্যমে জানানো হয়, সে রান্নাঘরের আড়ার সঙ্গে রশি ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

খুরশিদা বেগমের চাচাতো ভাই ইকবাল মাহমুদ ফকির বলেন, ‘আমার বোনকে আব্বাস তার পরিবারের লোকজন নিয়ে নির্যাতন করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তার মুখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। যে রান্না ঘরের আড়ার সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার কথা বলেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন, সে রান্না ঘরের মধ্যে একজন লোক সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। কীভাবে রশি দিয়ে আত্মহত্যা করলো আমার বোন? আমার বোনের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। ‘

মাদারীপুর সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (শিবচর-রাজৈর সার্কেল) মো. আবির হোসেন বলেন, ‘আমাদের শিবচর থানার পুলিশ একজন মহিলার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে গেছে। মহিলা সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এছাড়াও তার এক ছেলে ও মেয়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের কারণে এ ঘটনা হতে পারে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে বুঝতে পারবো, এটা হত্যা না আত্মহত্যা। এ ঘটনায় আমাদের তদন্ত চলছে।’