সারা বাংলা

চুক্তির শর্ত লংঘন, বিপ্লব উদ্যান পার্কের দোকান বন্ধের নির্দেশ

চট্টগ্রাম নগরীর বিপ্লব উদ্যানের সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রমে চুক্তি লংঘিত হওয়ায় এর সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত পার্কের সব দোকান বন্ধের নির্দেশ দিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর টাইগারপাস অস্থায়ী কার্যালয় থেকে স্কুটিযোগে নগরীর ২ নম্বর গেইটস্থ বিপ্লব উদ্যানের সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম পরিদর্শন ও গণশুনানিকালে প্রশাসক এই নির্দেশনা দেন। যাত্রাপথে তিনি রাস্তায় গর্ত দেখে সেগুলো দ্রুত ভরাট করার জন্য প্রকৌশলীদের নির্দেশ দেন। এছাড়া ২ নম্বর গেইট কবরস্থানের পাশে বালির স্তুপ দেখে একদিনের মধ্যেই অপসারণ করার জন্য পরিচ্ছন্নতা বিভাগকে বলেন। এছাড়া মসজিদ গলিতে জলাবদ্ধতা প্রকল্পের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার জন্য প্রকল্প পরিচালককে অনুরোধ করেন।

পরে বিপ্লব উদ্যান পরিদর্শনকালে প্রশাসক দেখেন, চুক্তিতে ১৫০ বর্গফুটের দোকান করার কথা থাকলেও প্রতিটি দোকান দুইশ বর্গফুটে বর্ধিত করা হয়েছে। জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা সংকুচিত করে দোকানের সিট বসানো হয়েছে। এছাড়াও চুক্তির শর্ত লংঘন করে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করে দোকান বসানো হয়েছে- যা চসিকের সাথে সম্পুর্ণরূপে চুক্তির বরখেলাপ করা হয়।

বর্তমানে পার্কটিতে কোনও প্রকার প্রাকৃতিক পরিবেশ নেই। এসব অনিয়ম ও অসঙ্গতি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশাসক বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চুক্তির বাইরে গিয়ে কিংবা ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করে শুধুমাত্র বাণিজ্যিক চিন্তা ভাবনায় এই কাজ করতে দেওয়া যায় না। এবিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী ও চসিকের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা চুক্তি অনুযায়ী কাজ সম্পাদনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।’

এসব সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত এসব অবৈধ দোকান বন্ধ থাকবে। নির্দেশ অমান্য করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুফিদুল আলম, প্রকৌশলী আলী আশরাফ, প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি এ কে এম রেজাউল করিম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।