সারা বাংলা

জনবান্ধব এসিল্যান্ড, পালিয়েছে দালাল, বদলেছে চিত্র

মাহবুবা হক বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে যোগদান করেছেন মাত্র ৪ মাস আগে। যোগদানের পর থেকেই একটি স্বচ্ছ, ঘুষবিহীন ও জবাবদিহিতামূলক সেবাকার্যক্রম সম্পন্ন ভূমি অফিস গড়তে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন তিনি।

অল্প দিনেই তিনি বেশ কিছু প্রশংসনীয় কাজ করায় সুনাম অর্জন করতেও সক্ষম হয়েছেন। অন্যদিকে, অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দেয়ায় তাদের কাছে তিনি এখন আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবা হক জানান, তিনি চলতি বছরের ৭ মে যোগদানের পর স্বাস্থ্যবিধি, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ, করাতকল বিধিমালা, মৎস্য হাচারি আইন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার (নিয়ন্ত্রন) আইনে ৮৮ জনের ৮৩ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা এবং এক হোটেল ব্যবসায়ীকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

করোনার মধ্যে গত ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৯৯.৩৫ শতাংশ ভূমি উন্নয়ন কর আদায় সম্পন্ন করে জেলায় সর্বোচ্চ আদায়কারি হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। করোনাকালে ২৫০জন গরীব ও দুস্থ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেছেন। করোনা আক্রান্ত ও মৃত ব্যক্তির পরিবারের খবর নেওয়া, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করাসহ নানা ধরনের কাজ করায় ভূমি মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে স্বীকৃতিস্বরুপ তাকে দেওয়া হয়েছে প্রশংসাপত্র।

তিনি আরো জানান, ইউএনও স্যারের সহযোগিতায় অপেক্ষমান ৬২৯টি নামজারি সমাধান ও সরকার নির্ধারিত ২৮ দিনের মধ্যেই সেসব নিষ্পত্তি করা এখন সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া উপজেলা ভূমি অফিসকে দালালমুক্ত ও রেকর্ডরুম সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। সরকারি জলমহলগুলো রাজস্বের আওতাভূক্ত করা ও খাস আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রতি বুধবার তিনি গণশুনানি নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিকারের চেষ্টা করেন।

এছাড়া, তিনি যোগদানের পর বৃদ্ধি করেছেন অফিসের সৌন্দর্য ও বদলে ফেলেছেন অফিসের চারপাশ। অফিসের উত্তর পাশের পতিত জায়গার জঙ্গল পরিষ্কার ও মাটি ভরাট করে ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করে বাগান তৈরি করেছেন। পাশাপশি সেবা নিতে আসা ১৫০ জনের মাঝে গাছের চারাও বিতরণ করেছেন।

উপজেলার সান্তাহার থেকে সেবা নিতে আসা আশরাফ আলী বলেন, ভূমি অফিসে আসতে এখন আর কোনো দালালের প্রয়োজন হয় না। ভোগান্তিও পোহাতে হয় না। এসিল্যান্ড মহোদয় খুব আন্তরিক মানুষ হওয়ায় সহজেই জমির সমস্যা সংক্রান্ত সকল বিষয় তাকে খুলে বলা যায়। ফলে আমরা প্রতারণার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছি।