সারা বাংলা

ইউএনও’র ওপর হামলা: যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪    

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউওনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনায় যুবলীগ নেতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার (৪ সেপ্টম্বর) দুপুরে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে এ তথ‌্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন, সিংড়া ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি মাসুদ, মামলার অন‌্যতম আসামি যুবলীগের সদস‌্য আসাদুল ইসলাম, ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন ও নৈশপ্রহরী নাহিদ হোসেন পালাশ। 

ওসি জানান, আজ ভোর সাড়ে ৪টায় র‌্যাব ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে হিলির কালীগঞ্জ এলাকা থেকে যুবলীগের সদস‌্য আসাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। তার বাড়ি ঘোড়াঘাট উপজেলার সাগরপুর গ্রাম। বাবার নাম আমজাদ হোসেন।

তিনি জানান, ঘোড়াঘাট উপজেলার রানিগঞ্জে অভিযান চালিয়ে নিজ বাসা থেকে যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। জাহাঙ্গীর হোসেন উপজেলার ওসমানপুর সাগরপাড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে।

তিনি আরও জানান, গতকাল ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ‌্যায় যুবলীগ নেতা সিংড়া ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি মাসুদ ও নৈশপ্রহরী নাহিদ হোসেন পালাশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন‌্য আটক করা হয়। আজ তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) ঘোড়াঘাট থানায় ওয়াহিদা খানমের বড় ভাই শেখ ফরিদ বাদী হয়ে হত‌্যা চেষ্টার মামলা করেন।

বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার সরকারি বাংলোতে হামলার শিকার হন ওয়াহিদা খানম। এ সময় তার বাবা ছুটে এসে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাকেও কুপিয়ে জখম করে। ওয়াহিদা খানমকে প্রথমে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জরুরি ভিত্তিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে আনা হয়। রাতে অস্ত্রোপচার করে তার মাথার ভাঙ্গা হাড়ের টুকরাগুলো জোড়া দেওয়া হয়।

হাসপাতালের নিউরো ট্রমা বিভাগের প্রধান নিউরোসার্জন মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন অস্ত্রোপচার শেষে রাতে সাংবাদিকদের জানান, ছয় সদস্যের চিকিৎসক দল প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ইউএনও ওয়াহিদার মাথার জটিল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন।