সারা বাংলা

না`গঞ্জের বিস্ফোরণে মৃত নয়নের কবর হলো লালমনিরহাটের নিজ গ্রামে

নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার তালুক পলাশী গ্রামের শুকুর আলী নয়ন।  নয়নের শেষ ঠিকানা হলো তার নিজ গ্রামে।

রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় নামাজে জানাযা শেষে নিজ গ্রামে নয়নের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

শুকুর আলী নয়ন ওই গ্রামের মেহের আলীর প্রথম সন্তান।  চার ভাইবোনের মধ্যে নয়ন সবার বড় ছিলেন।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, নয়নের পরিবারের সবাই আগে নারায়ণগঞ্জে গার্মেন্টসে কাজ করতেন।  কিছুদিন আগে নয়ন তার বোনকে বিয়ে দেন।  তারপর নয়ন এলাকায় কিছু জায়গা কিনে বাড়িঘর তৈরি করে বাবা-মা, ভাইবোনদের নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

বর্তমানে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি ছিলেন নয়ন। সেই নয়নই মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

নয়ন নারায়ণগঞ্জের মডেল গার্মেন্টস এ স্যাম্পল সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

নয়নের বন্ধু শামীম বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় আমাদের গার্মেন্টস ছুটি হয়।  নয়ন বাসায় ফিরে নামাজ পড়তে মসজিদে এসেছিল।  নামাজ পড়ে সে ফিরলে আমাদের একসাথে রাতের খাবার খাওয়ার কথা।  কিন্তু হঠাৎ শুনলাম বিস্ফোরণ, মসজিদে আগুন লাগছে।  গিয়ে দেখি লোকে লোকারণ্য।  আমরা ওই মসজিদের মেসেই থাকি।  তাকে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে অবাক হই, ভয় পেয়ে যাই।  ওখানে না পেয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসি।  সেখানে ওর লাশ ও মোবাইলটি পাই। এরপর ওর বাড়িতে কথা হয়।  ওর ভগ্নিপতি ও মা সকাল ৬টায় ঢাকায় পৌঁছালে লাশ বুঝে পান। '