সারা বাংলা

হাত দিয়ে তোলা যাচ্ছে রাস্তার কার্পেটিং

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে একটি নতুন রাস্তার কার্পেটিং নিম্নমানের হওয়ায় কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, হাত দিয়েই তোলা যাচ্ছে রাস্তার কার্পেটিং।

জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলা সদরের তুষভাণ্ডার থেকে দলগ্রাম পর্যন্ত ২ হাজার ৬০০ মিটার দীর্ঘ ও ১৬ ফুট প্রস্থের সড়কটি সংস্কারের কাজ করছে বিনিময় ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে ওই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাজটি যৌথভাবে কিনে নেন জেলার দুজন ঠিকাদার। 

গত ২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কালীগঞ্জের ইউএনও রবিউল হাসান।  সে সময় সড়ক সংস্কারে ব্যবহৃত খোয়ার ‘থিকনেস’ কমসহ নানা অভিযোগের সত্যতা পেয়ে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন তিনি।

শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার কার্পেটিং খুবই নিম্নমানের।  সামান্য খোঁচা দিলেই উঠে যাচ্ছে।  অনেকেই হাত দিয়ে টেনে তুলে ফেলছেন সেই কার্পেটিং।

স্থানীয়রা বলেন, রাস্তার কাজ সঠিকভাবে করা হচ্ছে না।  যেভাবে কাজ করেছে সেটাকে কাজ বলা যায় না।  কার্পেটিং খুব নিম্নমানের হয়েছে।

স্থানীয় মোসলেম উদ্দিন বলেন, রাস্তার কাজের বিষয়ে আমরা কিছু বললেই ঠিকাদারের লোকজন ক্ষেপে যান।  নিম্নমানের বিটুমিন দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।  সে কারণে কার্পেটিং করতে না করতেই তা উঠে যাচ্ছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঠিকাদারের প্রতিনিধি মাসুদ রানা বলেন, সড়ক সংস্কারের কাজটি পেয়েছে বিনিময় ট্রেডার্স।  সেই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কিনে দুজন ঠিকাদার যৌথভাবে কাজটি করছেন।  বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বৃষ্টির সময় কাজটি করায় কিছু অংশের কার্পেটিং উঠে গেছে।  এগুলো আবার ঠিক করে দেওয়া হবে।

কাজটি দেখভালের দায়িত্বে থাকা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার হয়নি।  নতুন কার্পেটিং  হাত দিয়ে টানলে সেটি উঠে আসবেই।  দু-তিন দিন পর তা আর উঠে আসে না।

কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবু তৈয়ব মোহাম্মদ সামছুজ্জামান বলেন, আমি একবার গিয়ে নিম্মমানের কাজের প্রমাণ পাওয়ায় তা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিম্নমানের কাজ প্রমাণিত হলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।