সারা বাংলা

তিনশ বছরের ঐতিহ্য ‘কাচারি বাড়ি’

মাগুরা জেলা সদরের আলোকদিয়ায় অবস্থিত পীর মো. জাফর সাদেক সাহেবের স্মৃতি বিজড়িত ‘কাচারি বাড়ি’। ৩০০ বছরের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে এই বাড়িটি।

পীর সাহেবের উত্তরসূরি সৈয়দ ফরিদ উদ্দিন সাহেব এখন কাচারি বাড়ি দেখাশোনা করেন।

সৈয়দ ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘৩০০ বছর আগে কাচারি বাড়িটি তৈরি করা হয়। বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজন অনুযায়ী কাচারির কিছু উপকরণ পরিবর্তন করা হয়েছে। এতে  চেহারাতেও কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। ঘরটি একসময় আট চালার ছনের ছাউনি ছিল। ছন ও ছাউনির  কারিগর পাওয়া না যাওয়ায় টিনের ছাউনি দেওয়া হয়।’

তিনি জানান, আগে কাচারি ঘরে অতিথি আপ্যায়ন, থাকার ব্যবস্থা ছিল। কাচারিতে বসতো সামাজিক বৈঠক। হতো নানা আলোচনা। বিচারের জন্য সালিস বৈঠক বসতো এখানে। এখন এগুলো আর হয় না।

তিনি আরও জানান, কাচারি বাড়িটির বর্তমান চেহারা প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো। তিন স্তরের টিনের চালগুলো মোট ১২ কোণ বিশিষ্ট। পুরো ঘরটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে শাল কাঠের খুঁটি।

বর্তমান অবস্থার কাচারি ঘরটি নির্মাণ করেন শ্রী কেদার ও শ্রী কেদারদ্দী ঘরামি। ঘরের কাঠের খুঁটিতে এই দুইজন মিস্ত্রীর নাম খোদাই করে লেখা আছে।

মাগুরা সদরের সিরিজদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ‘কাচারি ঘরের গল্প অনেক শুনেছি। তাই মাঝে মাঝে এখানে আসি। বেশ ভালো লাগে।’ 

স্থানীয়রা বলেন, এই ধরনের ঘর এখন আর দেখা যায় না। নেই তৈরির কারিগর। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ পুরনো কাচারি ঘর দেখতে আসেন।

মাগুরা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আলোকদিয়ার মরহুম পীর সাহেব হজুরের কাচারি বাড়ি মাগুরার অন্যতম ঐতিহ্য। অনিন্দ্য স্থাপনাটি সংরক্ষণে সরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন।’