সারা বাংলা

কুষ্টিয়ায় এনআইডি জালিয়াতি: যুবলীগ নেতা রিমান্ডে

কুষ্টিয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতি করে অন্যের জমি রেজিস্ট্রেশন ও দখলের ঘটনায় করা মামলার এজাহার নামীয় ও টাকা বিনিয়োগকারী হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী মহিবুল ইসলাম (৪০) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। 

একই সঙ্গে মামলার অপর আসামি শহর যুবলীগের (সদ্য বিলুপ্ত কমিটির) আহ্বায়ক আশরাফুজ্জামান সুজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গ্রেপ্তার অন্য আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার খন্দকার আবুল হোসেন ছেলে মো. ওয়াদুল ওরফে মিন্টু খন্দকার (৬০), কুমারখালী উপজেলার শালঘর মধুয়া গ্রামের আতিয়ার শেখের ছেলে মো. মিলন হোসেন (৩৮), মিন্টু খন্দকারের বোন লাহিনী দাসপাড়ার বাসিন্দা সাত্তার শেখের স্ত্রী ছানোয়ারা খাতুন (৫০) এবং অপর বোন খন্দকার আব্দুল আজিজেরর স্ত্রী জাহানারা খাতুন (৪৫)। 

একই সঙ্গে পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে জমি রেজিস্ট্রেশনের ঘটনায় ক্রেতা হিসেবে জড়িত মিরপুর উপজেলার সাহাজ উদ্দিনের ছেলে মহিবুল ইসলামকেও (৪৫) আসামি করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক আকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন

আকিবুল ইসলাম জানান, গত কাল রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ‌্যায় ডিবি পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার কুষ্টিয়া শহরের বড়বাজার এলাকার হাজী মোহাম্মদ আলীর ছেলে মহিবুল কুষ্টিয়া সদর আমলী আদালতের বিচারক দেলোয়ার হোসেনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। পরে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন আদালত।

প্রসঙ্গত, জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে একটি চক্র নিজেরাই ক্রেতা-বিক্রেতা সেজে অন্যের জমি রেজিস্ট্রেশন ও দখলের ঘটনায় কয়েকটি গণমাধ্যমে অনুসন্ধানী সংবাদ প্রচার হয়। পরে এই জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া শহরের এন এস রোডের বাসিন্দা এম এম এ ওয়াদুদের প্রায় ১০০ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি বিক্রয় ও হস্তান্তর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দখল চেষ্টার অভিযোগে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ ১০/১২ অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলার এজাহার নামীয় সাত জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।