পাবনার সুজানগরে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে দশটি ড্রেজার ধ্বংস করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বালু উত্তোলন ও পরিবহনের অপরাধে তিনজনকে আটক করা হয়।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রওশন আলী ওই অভিযান পরিচালনা করেন।
আটককৃতরা হলো ফরিদপুর জেলার গুরদিয়া গ্রামের ওমর আলী (৪০), বোয়ালমারী গ্রামের বিল্লাল হোসেন (২৫) ও রাজবাড়ী জেলার ওরাকান্দা গ্রামের স্বপন হোসেন (২৬) ।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দীর্ঘদিন কিছু সংখ্যক অসাধু প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ী পদ্মা নদীর সাতবাড়ীয়া, নারুহাটি, তারাবাড়ীয়া, হাজার বিঘার চর, রাইপুর, নাজিরগঞ্জ, বড়খাপুর, হাসামপুর, মহনপুর, মহব্বতপুর ও কামারহাটসহ অন্তত ৩০টি পয়েন্ট থেকে অবৈধভাবে শক্তিশালী ড্রেজার দিয়ে লাখ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে আসছিল।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রওশন আলীর নেতৃত্বে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বায়েজীদ বিন আখন্দ ও মো. নাজমুস সাদাত থানা পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সহায়তায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে দশটি ড্রেজার ধ্বংস করেন। এ সময় বালু উত্তোলন ও পরিবহনের অপরাধে তিনজনকে আটক করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বায়েজীদ বিন আখন্দ জানান, আটক তিনজনের বিরুদ্ধে বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে মামলা হয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রওশন আলী বলেন, পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে এটি দ্বিতীয় দফা অভিযান। এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর একইভাবে অভিযান পরিচালনা করে একটি ড্রেজার ধ্বংস এবং একটি বলগেট বিকল করা হয়। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।