সারা বাংলা

জনপ্রিয় হচ্ছে সময়-অর্থ সাশ্রয়ী ‘রাইস প্লান্টার’ 

কুষ্টিয়ার মিরপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ধানের চারা রোপণকারী যন্ত্র ‘রাইস প্লান্টার’। এতে সাশ্রয় হচ্ছে সময় ও অর্থের। কমছে উৎপাদন খরচও। এই যন্ত্র ব‌্যবহার করে মাত্র এক ঘণ্টায় এক বিঘা জমির ধানের চারা রোপন করছেন কৃষক।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় কুষ্টিয়ার মিরপুরের চাষিরা ‘রাইস প্লান্টার’ যন্ত্রের মাধ্যমে ধান রোপন করছেন। এ যন্ত্রের ব্যবহার আরো বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিস।

মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের কৃষক সামসুল হক বলেন, ‘আমি দেড় বিঘা জমিতে এ যন্ত্রের সাহায্যে ধান রোপণ করছি। এতে আমার খরচ অনেক কম হয়েছে। বিঘা প্রতি যেখানে ধান লাগাতে পাঁচজন শ্রমিক লাগতো, তাতে খরচ হতো ২৫০০ টাকা। সেখানে আমি ৫০০ টাকায় ধানের চারা রোপণ করেছি। আর এটাতে সময়ও খুব কম লেগেছে।’

কৃষক হায়দার আলী জানান, ধান লাগানোর সময় শ্রমিক সংকট দেখা থাকে। শ্রমিকের মজুরিও বেশি দিতে হয়। আর মেশিন দিলে ধান লাগালে লাইনও সোজা হয়।

রাইস প্লান্টারের চালক মোমিন আলী বলেন, ‘এই যন্ত্র দিয়ে এক বিঘা জমিতে ধান রোপণ করতে সময় লাগে মাত্র ১ ঘণ্টা। ধান রোপণ করে জমি ভেদে ৫০০-৮০০ টাকা করে নিচ্ছি। কম সময়ে সোজা লাইনে ধান রোপন হচ্ছে। এতে চারার অপচয়, অর্থের অপচয় কম হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘উপজেলা কৃষি অফিস আমাদের কৃষক সংগঠন সিআইজিতে এ রাইস প্লান্টার বিনামূল্যে দিয়েছে। সংগঠনের সভাপতির দায়িত্বে থাকে এ যন্ত্রটা।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘রাইস প্লান্টার দিয়ে একসঙ্গে ৬ লাইনে ধানের চারা রোপণ করা যায়। লাইনও সোজা হয়। ফলে আগাছা নিড়ানো, সার ও কীটনাশক ছিটানো ও ধান কাটাও সহজ হয়।’

তিনি বলেন, ‘মিরপুর উপজেলার কৃষকদের মাঝে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার। যন্ত্র কিনতে কৃষকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে। মিরপুর উপজেলায় সরকার বিনামূল্যে একটি রাইস প্লান্টার দিয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও দেওয়া হবে।’

মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস বলেন, ‘সরকার কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে কৃষকদের প্রণোদনা ও সহযোগিতা করছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি কৃষকদের হাতে পৌঁছে দিচ্ছে সরকার। এতে কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন।’