সারা বাংলা

ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য ঘোষণা দিয়ে দুবাই থেকে এলো ৮ টন গুঁড়ো দুধ

দুবাই থেকে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য আনার ঘোষণা দিয়ে প্রায় সাড়ে ৮ মেট্রিক টন নিডো ব্র্যান্ডের গুঁড়ো দুধ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুরো চালানটি জব্দ করা হয়েছে।

এতে বন্দরে প্রায় ২৮ লাখ টাকার শুল্ক ফাঁকি দেওয়া ঠেকিয়ে দিয়েছে কাস্টমস হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন এন্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা।

শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ‌্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি রাইজিংবিডিকে জানান, ঢাকার প্রাইম ট্রেডিং নামের একটি প্রতিষ্ঠান  ইলেকট্রনিক্স পণ্য চালানের ঘোষণা দিয়ে এর বিপরীতে মাত্র আড়াই লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ করে। এরপর দুটি কাভার্ডভ্যানে পণ্য খালাস করার চেষ্ঠা করে। গোপন সূত্রে তথ্য পেয়ে, এই দুই কাভার্টভ্যানবোঝাই পণ্য জব্দ করা হয়। এরপর তা কায়িক পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়। পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই চালানে কোনো ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য নেই। রয়েছে প্রায় সাড়ে ৮ মেট্রিক টন নিডো ব্র্যান্ডের গুড়ো দুধ। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানিকারক প্রায় ২৮ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি দেয়ার অপচেষ্ঠা চালিয়েছিল।

বন্দর কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, ঢাকার ড. খুদরত-ই-খুদা রোডের (এলিফ্যান্ট রোড) প্রাইম ট্রেডিং নামে ওই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে ইলেকট্রনিক পণ্য আনার ঘোষণা দিয়ে দুই মেট্রিক টন পণ্য আমদানি করে। নিয়ম অনুযায়ী পণ্যগুলো কন্টেইনার থেকে নামিয়ে বন্দরের ১২ নম্বর শেডে সংরক্ষণ করা হয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর পণ্য খালাসের জন্য আমদানিকারকের মনোনীত সিঅ‌্যান্ডএফ এজেন্ট চট্টগ্রামের কুলগাঁও ট্রেডার্স লিমিটেড কাস্টম হাউসে বিল অব এন্ট্রি (সি-১২৪৯০০৮) দাখিল করে। কাস্টমস কর্মকর্তা পণ্যের শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করতে গেলে পণ্য খালাসে নিয়োজিত আমদানিকারকের মনোনীত সিঅ‌্যান্ডএফ প্রতিনিধি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে শেডে সংরক্ষিত অপর একটি ইলেকট্রনিক পণ্য প্রদর্শন করেন।

বৃহস্পতিবার রাতে কাভার্টভ্যান ভর্তি করে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য বন্দর থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় কাস্টমস গোয়েন্দারা তথ্য পায় এই চালানে কোন ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য নেই, সবই গুঁড়ো দুধ। সঙ্গে সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করে সাড়ে ৮ মেট্রিক টন গুঁড়ো দুধের চালান জব্দ করা হয়।

এ ব্যাপারে কাস্টমস আইনে শুল্ক ফাঁকি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এই সঙ্গে বন্দর বা কাস্টমস সংশ্লিষ্ট কেউ জড়িত রয়েছে কি-না তাদেরও খুঁজে বের করা হবে বলে জানিয়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।