সারা বাংলা

সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বিপৎসীমার ৭ সে.মি ওপরে

পাহাড়ি ঢলে আবারও যমুনা নদীর পানি বেড়েছে। ইতোমধ‌্যে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর পয়েন্টে (১৫.২৫ মিটার) যা বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

অপর দিকে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট (১৩.৩৫ মিটার) যা ১৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জুনের প্রথম থেকেই যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর পয়েন্টে বৃদ্ধি পায়। গত ২৮ জুন দুই পয়েন্টেই বিপৎসীমা অতিক্রম করে। পরে ৪ জুলাই থেকে আবার পানি কমতে শুরু করে এবং ৬ জুলাই বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। 

৯ জুলাইয়ের পর ফের বাড়তে থাকে এবং ১৩ জুলাই দ্বিতীয় দফায় বিপৎসীমা অতিক্রম করে কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে। টানা ২৫ দিন বন্যা ছিলো। পরে ৭ আগস্ট যমুনার পানি উভয় পয়েন্টেই বিপৎসীমার নিচে নেমে যায়। এর মধ্যে কয়েক দফায় যমুনার পানি কো-বাড়ার মধ‌্যে থাকলেও বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কাজিপুর পয়েন্টে আবারও বিপৎসীমা অতিক্রম করে যমুনার পানি।

উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, কাজীপুর উপজেলার পাটাগ্রাম ও শাহজাদপুর উপজেলার ব্রহ্মণগ্রাম থেকে কৈজুড়ী পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার বাঁধ অরক্ষিত রয়েছে। এখানে ভাঙন ছিলো। ভাঙন রোধে ১১শ কোটি টাকার দুটি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনও হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হবে। যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে আরেকবার বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই।

এদিকে, সদর উপজেলার পাঁচ ঠাকুরী সিমলা স্পার বাঁধ এলাকায় আজ দুপুরে পশ্চিমপাড়া জামে-মসজিদটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধির কারণে নদীতীরবর্তী অঞ্চলে নতুন করে প্লাবিত হয়ে ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে জেলার কাজীপুর, এনায়েতপুর ও চৌহালীতে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।