সারা বাংলা

‘ভবন নির্মাণ আইন’ ভঙ্গের অভিযোগে প্রকৌশলীকে শোকজ

বাসভবন তৈরিতে ইমারত নির্মাণ আইন ভঙ্গের অভিযোগে খুলনার সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়াউদ্দিনকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) এর পরিদর্শক মো. মাহাবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) খুলনা নগরীর আটরা শিল্পাঞ্চল এলাকায় কেডিএ অনুমতি ছাড়াই পাকা স্থাপনা নির্মাণ বিষয়ে কাজ বন্ধ করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়।

প্রকৌশলী জিয়াউদ্দিন বর্তমানে সাতক্ষীরায় কর্মরত রয়েছেন।

কেডিএ’র সূত্র জানায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর কেডিএ পরিদর্শক মো. মাহাবুবুর রহমান সরেজমিন পরিদর্শনকালে নগরীর আটরা শিল্প এলাকায় অননুমোদিত নির্মাণ কাজের বাস্তব চিত্র দেখেন। 

তারই আলোকে গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ কেডিএ’র অথরাইজড অফিসার স্বাক্ষরিত পত্রে প্রকৌশলী মো. জিয়াউদ্দিনকে শোকজ করা হয়।

ওই পত্রে উল্লেখ করা হয়, আপনি ১৯৫২ সালের ইমারত নির্মাণ বিধিবদ্ধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা খেলাপ করে অথরাইজড অফিসারের বিনা অনুমতিতে ৯০০ বর্গফুট পরিমাপের আরসিসি কলাম বিশিষ্ট নির্মাণ কাজ করছেন— যা ওই বিধিবদ্ধ আইনের ধারা মতে দণ্ডনীয় অপরাধ।

কেডিএ’র চিঠিতে অননুমোদিত নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে মো. জিয়াউদ্দিনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং নির্মিত অননুমোদিত কাজ ভেঙে ফেলার আদেশ কেন দেওয়া হবে না, তা আগামী ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

এর আগে নগরীর আটরা শিল্পাঞ্চলে শরীফা প্রিন্টার্স অ‌্যান্ড প্যাকেজার্স প্রাইভেট লিমিডেট নামের কারখানার বাউন্ডারি ঘেঁষে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী জিয়াউদ্দিনের পৈত্রিক জমিতে আবাসিক ভবনের অনুমোদনের বাইরে ঝুল-বারান্দা নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা এমএম মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি টিম সরেজমিন পরিদর্শনকালে অভিযোগের সত্যতা পান।

ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, স্থানীয় বাসিন্দা মৃত আফতাব উদ্দিন মোড়লের ছেলে জিয়াউদ্দিন মোড়ল গং তিনতলা বাড়িটি ৩৩ হাজার ভোল্ট বিদ্যুৎ লাইন সংলগ্ন। যেকোন সময়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। জিয়াউদ্দিন কোন নিয়মকানুন না মেনে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তার সংলগ্ন গৃহাদি নির্মাণ করেছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত জিয়াউদ্দিনের নিকট ঝুঁকিপূর্ণ নির্মাণের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোনো তথ্য দিতে অস্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে কেডিএ’র অথরাইজড অফিসার মো. মুজিবর রহমান জানান, অননুমোদিত নির্মাণ কাজের জন্য ভবন মালিককে শোকজ করা হয়েছে। ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।