দুর্যোগপূর্ণ ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে হাতিয়া-ঢাকা লঞ্চ চলাচল, হাতিয়া-চট্টগ্রাম স্টিমার চলাচল ও হাতিয়া-বয়ারচর চেয়ারম্যান ঘাট সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শত শত যাত্রী।
ফলে দেশের অন্য কোথাও থেকে কোন লোকজন হাতিয়ায় আসতে পারছেন না এবং হাতিয়া থেকে কোন লোক দ্বীপের বাহিরেও যেতে পারছেন না। এতে করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও বেড়েছে।
এদিকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়ার পরপর সাগর ও নদী উত্তাল থাকার কারণে গত তিন ধরে অস্বাভাবিক জোয়ারে হাতিয়া উপজেলার হরণী, চানন্দী, নলচিরা, সুখচর, চরঈশ্বর ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়েছে ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। দিনে ও রাতে জোয়ারের পানিতে অধিকাংশ সময় পানিতে তলিয়ে থাকছে এসব এলাকা। অনেকের দৈনন্দিন রান্নার কাজ ব্যাহত হওয়ায় অনাহারে-অর্ধাহারে দিন যাপন করছে।
এসব গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছে, ‘আম্পানের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামত না করায় প্রতিনিয়ত জোয়ারের পানিতে আমরা দুর্ভোগে আছি।’
এ বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জানান, ‘বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জোয়ারের পানিতে অনেক এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। আমরা এটি প্রতিবেদন আকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’