সারা বাংলা

রোগী আছে, ডাক্তার নেই

সকাল ৯টা থেকে টিকেট কেটে নাক, কান, গলার ডাক্তার দেখাতে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন দুলালা মিয়া। তার মতো সকাল ১১টা পর্যন্ত প্রায় ৭০ জন রোগী এসেছেন ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এনএম খায়রুল বাশারের চেম্বারের সামনে। মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. আবু বকর সিদ্দিক ও ডা. দিলীপ কুমার সরকার এবং গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. ওসমান গনির চেম্বারের সামনেও রোগীদের দীর্ঘ লাইন। তবে এখনো আসেননি ডাক্তার। সকাল ৯টা থেকে রোগীদের স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেওয়ার কথা থাকলেও সকাল ১১ টা পর্যন্ত কোন চিকিৎসকের পরামর্শ পাননি দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা। 

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে এমনই চিত্র দেখো গেছে। বেশিরভাগ চেম্বারের সামনেই রোগীদের দীর্ঘ লাইন।ডাক্তার না থাকায় অনেকেই চলেওে যাচ্ছেন্। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের দাবি চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের। আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।

মেডিসিন বিভাগের সামনে বীরেন্দ্রনাথ কর্মকার নামের এক রোগী রাইজিংবিডিকে জানান, ‘দেড় ঘন্টা ধরে অপেক্ষা করেও ডাক্তারের দেখা পারিনি। তাই বাধ‌্য হয়েই বাইরের প্রাইভেট ক্লিনিকে যাচ্ছি।’ নাক, কান, গলা বিভাগের সামনে সুমা আক্তার নামের গৃহবধূ বলেন, ‘ছয় বছরের ছেলেকে নিয়ে এসেছি ডাক্তার দেখাতে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে এখনো ডাক্তার দেখাতে পারিনি।’ সমুন মিয়া বলেন, ‘দরিদ্র হওয়ায় বাইরে গিয়ে ভিজিট দিয়ে ডাক্তার দেখানোর সামর্থ্য নেই। তাই বাধ্য হয়ে ডাক্তারের অপেক্ষায় আছি।’

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ ডা. এনএম খায়রুল বাশার বলেন, সকাল ৯টা থেকেই হাসপাতালে আছেন তিনি। অফিসয়িাল কাজ ও ভর্তি রোগী থাকায় চেম্বারে আসতে দেরি হয়েছে। তবে সার্বক্ষণিকভাবে রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।  আর মেডিসিন বিশেষজ্ঞ দুই ডাক্তার রাউন্ডে রোগী দেখতে যাওয়ার কারণে চেম্বারের রোগীদের দীর্ঘ সিরিয়াল জমে আছে বলে জানান চিকিৎসকদের সহকারী।

হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডা. আরশ্বাদ উল্লাহ্ বলেন, জনবল সংকট থাকায় হাসপাতালে আগত রোগীরা যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তবে যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা দিতে হাসপাতালের প্রতিটি চিকিৎসক বেশ আন্তরিক বলেও জানান তিনি।